শনিবার শান্তনুকে আদালতে পেশ করেছিল ইডি। শনিবার আদালতে ইডি জানিয়েছে, শান্তনুর মোট ২০টি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর বাৎসরিক বিনিয়োগ তাঁর আয়ের থেকে অনেকটাই বেশি।
ধৃত তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনদিনের ইডি হেফাজতে আপাতত তীক্ষ্ণ প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হচ্ছেন হুগলির তৃণমূল বিধায়ক। এবার এহেন শান্তনুই নাকি ইডির তদন্তকারীদের প্রশ্নের মুখে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন। ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, জেরায় হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, চাকরিপ্রার্থী ছাড়াও অনেক তৃণমূল সদস্য চাকরি পেতে তাঁদের নথি পৌঁছে দিয়েছেন তৃণমূল নেতাদের কাছে। এদিকে সেই নথি কাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হত, সেই 'রাঘববোয়ালদের' নাম জানতে জেরা জারি রেখেছেন ইডি কর্তারা। (আরও পড়ুন: ডিএ ধর্মঘটে অংশ নেওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নবান্নর, কী করল সরকার?)
শনিবার শান্তনুকে আদালতে পেশ করেছিল ইডি। শনিবার আদালতে ইডি জানিয়েছে, শান্তনুর মোট ২০টি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর বাৎসরিক বিনিয়োগ তাঁর আয়ের থেকে অনেকটাই বেশি। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কর্মী হিসাবে তাঁর বেতন সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ টাকা হতে পারে। কিন্তু কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি। ইডির দাবি, একটি চাকরির বিনিময়ে শান্তনু ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে নিতেন। এর আগে শুক্রবার সাত ঘণ্টা শান্তনুকে জেরা করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, শান্তনুর হুগলির বাড়িতে হানা দিয়ে ইডির তদন্তকারীরা স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি পেয়েছেন। মোট ৩১২ অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে। তাঁর বাড়িতে পাওয়া বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ডের প্রতিলিপি মিলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতেও।