ভিডিয়ো কল ধরতেই আচমকা দেখতে পেলেন এক নগ্ন মহিলাকে। প্রতারণা করতেই এই ফোন। আর এই ফোন করা হয়েছিল তৃণমূলের বিধায়ক অসিত মজুমদারকে। এই একই নম্বর থেকে পরপর তিনবার ফোন আসে অসিতবাবুর ফোনে। এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল বিধায়ক। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগে তিনি গোটা ঘটনা জানিয়েছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।জানা যায়, অসিত মজুমদারের কাছে প্রথম ভিডিয়ো কলটি এসেছিল গত ১২ সেপ্টেম্বরে। ফোন ধরে এই কাণ্ড দেখেই বিষয়টি বুঝতে পারেন অসিতবাবু। সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দেন। এরপর তিনবার কল আসে একই নম্বর থেকে। যদিও ফোন না ধরে ততক্ষণে ওই নম্বর ব্লক করে দিয়েছেন তিনি। প্রতারকরা তাঁকে ফাঁদে ফেলতে পারেনি। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লি পুলিশের অফিসার পরিচয় দিয়ে একজন হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস কল করেন বিধায়ককে। সেই ব্যক্তি দাবি করেন, বিধায়কের সেক্স কলের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।জবাবে বিধায়ক বলেন, ‘আপনি পুলিশ নন বোঝা গিয়েছে। ব্ল্যাকমেল করে লাভ নেই।’ এরপরই চুঁচুড়া থানা ও চন্দননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানান বিধায়ক অসিত মজুমদার। পরে এই বিষয়ে আম জনতাকে সচেতন করতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে অসিতবাবু বলেন, ‘একটা ছেলে দিল্লি পুলিশের নাম করে এই প্রতারণা করেছে। এর থেকে সমাজকে বাঁচাতে গেলে সংবাদমাধ্যম একমাত্র মাধ্যম। আমরা বিচার ব্যবস্থা, আইন ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং সংবাদমাধ্যমের ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখি। সাইবার ক্রাইম বন্ধ করার জন্য মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে।’