সোমবার রাত ৯টা। রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। বাইরে বোমাবাজির আওয়াজ। আতঙ্কে ঘরের ভেতর থেকে তালা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বাড়ির মহিলারা। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি। বাইরে থেকে ঘরের ভেতরে পেট্রল ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দাউ দাউ করে জ্বলে যায় ঘরের আসবাবপত্র। তার সঙ্গে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে যান বাড়ির লোকজন। আর্ত চিৎকার শোনা যায় ঘরের ভেতর থেকে। কিন্তু কেউ আতঙ্কে তাঁদের রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেননি। জীবন্ত পুড়ে মারা যান ৮জন। আর সেই ঘটনার জেরে একেবারে চরম আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে গোটা গ্রাম জুড়ে। আতঙ্কে মুখ খুলতে চাইছেন না অনেকেই। সকলের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ।রাত নামছে। অন্ধকারে ঢাকা পড়ছে গোটা গ্রাম। আর তার জেরে আর গ্রামে থাকতে চাইছেন না অনেকেই। ভ্যানে জিনিসপত্র চাপিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে চাইছেন অনেকেই। ট্রাঙ্কে জিনিসপত্র ভরে, বাসনপত্র, দরকারি জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে চাইছেন তাঁরা। মূলত পরিচিতদের বাড়িতে চলে যেতে চাইছেন তাঁরা। ক্রমেই পুরুষশূন্য হয়ে যাচ্ছে গোটা গ্রাম। কিন্তু কেন বাড়ি ছাড়ছেন অনেকেই। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতের ঘটনা মনে করলেই শিউড়ে উঠছেন অনেকেই। রাতে আবার হামলা হবে না তো|? এই আশঙ্কা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে এলাকার মানুষকে। আর পুলিশের উপরেও ভরসা হারিয়েছেন অনেকেই। কার্যত সেকারণেই গ্রাম ছাড়তে চাইছেন বাসিন্দারা। বেশিরভাগই দরজায় খিল তুলে দিয়েছেন।