রামপুরহাট থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন যুবতী। আর সেখানেই তিনি অ্যাসিড হামলার শিকার হলেন বলে অভিযোগ ওই যুবতীর। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এমন ঘটনার পর থানা থেকে ওই আক্রান্ত যুবতীকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই এখন দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা চলছে যুবতীর। ওই যুবতীর শরীরে অ্যাসিড ছুড়ে হামলার অভিযোগ উঠল। খোদ থানায় এমন ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে ওই যুবতীর প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে। এক ব্যক্তি থানায় অ্যাসিড নিয়ে ঢুকল আর কেউ দেখতেও পেলেন না? এমনটা হল কেমন করে? পুলিশ কেন কিছু বুঝতে পারল না? এই বিষয়ে পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, ছেলেটি থানার ভিতরে ঢুকেছিল অভিযোগ জানাবে বলে। আর থানায় ঢুকেই ওই যুবতী যখন বসেছিলেন তখন তাঁকে দেখেই এমন একটা ঘটনা ঘটিয়ে দেয় ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অ্যাসিডে যুবতীর শরীরের কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘নিজেদের এলাকার বাড়ি ভেঙে আমরা কড়া ব্যবস্থা বলে লাফাবো?’ কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন কুণালের
অন্যদিকে এই অ্যাসিড হামলা পূর্ব পরিকল্পিত। ওই যুবতী এখানে এসেছেন অভিযোগ দায়ের করতে সেটা জানতে পারে তার প্রাক্তন স্বামী। তখনই গোটা ঘটনা ঘটানোর সব পরিকল্পনা করে ফেলে সে। তবে ধরা পড়ে যাবে ভাবতে পারেনি। কারণ পালানোর চেষ্টা সে করেছিল। যদিও পুলিশের কবজা থেকে পালাতে পারেনি অভিযুক্ত যুবক। প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এসে থানার ভিতরেই পুলিশের সামনে অ্যাসিড আক্রান্ত হলেন এক গৃহবধূ। রবিবার সন্ধ্যায় রামপুরহাট থানায় তোলপাড় হয়ে যায়। দুই বোনের ছেলে–মেয়ের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল কয়েক বছর আগে। কিন্তু মানসিক ভারসাম্য হওয়ার অভিযোগ তুলে মাসির ছেলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করে দেয় অ্যাসিড আক্রান্ত ওই গৃহবধূ। আবার তার বিয়ে দেওয়া হয় লোহাপুরের এক যুবকের সঙ্গে। ওই বিয়ের পর থেকে সেখানেও প্রাক্তন স্বামী গিয়ে ঝামেলা করছিল বলে অভিযোগ।
তাছাড়া অ্যাসিড আক্রান্ত বধূর দাদু–ঠাকুমা তাঁর প্রাক্তন স্বামী বা মাসির বাড়িতে থাকার কারণে তাঁদের ওপরও নির্যাতন করছিল ওই পরিবার বলে অভিযোগ। রবিবার তাঁদের দেখতে গেলে অ্যাসিড আক্রান্ত গৃহবধূ এবং তার মায়ের উপরে চড়াও হয় অভিযুক্ত। তাই অভিযোগ জানাতে রবিবার সন্ধ্যায় গৃহবধূর পরিবারের সকলে মিলে রামপুরহাট থানায় যান। এই ঘটনা নিয়ে মেয়ের দাদা ও মায়ের দাবি, ‘থানায় তখন তিনজন পুলিশ কর্মী ছিল। মায়ের মোবাইল ভেঙ্গেছে, মেরেছে তার জন্য হাসপাতালে ইনজুরি রিপোর্ট করতে মেডিক্যাল কলেজে পাঠায় পুলিশ। থানার ভিতর বসেছিল বধূ। তখনই বধূর প্রাক্তন স্বামী সেখানে আসে এবং গৃহবধূকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয়।’