যে কবিগুরুকে দেশ–বিদেশের মানুষ আজও শ্রদ্ধা–সম্মান জানান সেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভাঙল পুরুলিয়া পুরসভা বলে অভিযোগ। ওই পুরসভার গেটের সামনে ছিল মূর্তিটি। আর ভাঙা হল সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি। এই নিয়ে শুরু তুমুল আলোড়ন। পুরুলিয়া পুরসভার গেটের সামনে বসানো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেশি রাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভেঙে ফেলে পুরসভার কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেও ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।
পথচলতি মানুষজন এই মূর্তি দেখে প্রণাম করতেন। তার উপর বাঙালির শয়নে–স্বপনে এবং মননে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেখানে কিনা উন্নয়নের দোহাই দিয়ে ভেঙে ফেলা হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি। এই মূর্তি ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরুলিয়া পুরসভার দুয়ারে গীতাঞ্জলি নামের বেদি তৈরি করে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি। যার উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু। আর রবিবার দেখা গেল, সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির কোনও চিহ্নই নেই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তখন পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের মুখে উন্নয়নের সাফাই শোনা গেল।
আরও পড়ুন: জল চুরি রুখলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদার, দাঁড়িয়ে থেকে কাটালেন অবৈধ সংযোগ
এই ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষও ক্ষুব্ধ। যদিও পুরুলিয়া পুরসভার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালির সাফাই, ‘সসম্মানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি সরানো হয়েছে। ওখানে মূর্তির জন্য ড্রেন আটকে যাচ্ছিল। তাই তা ভাঙা হয়েছে। সম্মানে অন্য জায়গায় বসানো হবে।’ কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের শহর সভাপতি কাজল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘হঠাৎ করে মূর্তি ভাঙা হয়েছে। কোনও আলোচনা কেন করা হল না? এটা একটা পরিকল্পনাহীন কাজ।’ আর সুযোগ পেয়ে বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গার বক্তব্য, ‘বাংলার সংস্কৃতি–সম্মান এই সরকারের কাছে ছোট। একটা মূর্তি কত জায়গা নিচ্ছে যে হাইড্রেন আটকে যাচ্ছে! আবার মূর্তি তৈরির নামে টেন্ডার ডেকে টাকা কমানো হবে।’