আলুর দাম নিয়ে যখন এমন একটা তোলপাড় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তখন গোপনে এখন ভিন রাজ্যে এবং বাংলাদেশে আলু পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। কৃষি বিপণন দফতরের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যে এখন রোজ ১৮ হাজার টন আলুর প্রয়োজন। নতুন আলু বাজারে আসতে আরও সময় লাগবে। তাই ৯ লক্ষ টনের কিছু বেশি আলু রাজ্যের ভাঁড়ারে থাকা প্রয়োজন।
Ad
আলুর ঘাটতি।
আলুর দাম এখনও খুচরো বাজারে ৩০ টাকার নীচে নামেনি। অথচ হুগলি, পূর্ব বর্ধমান সহ কয়েকটি জেলার হিমঘর থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে কলকাতা–সহ আশেপাশের এলাকার খুচরো বাজারে ব্যবসায়ীরা আলু পাঠাতে শুরু করেছেন। সেক্ষেত্রে বাংলার বাজারে আলুর জোগানে টান পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ নতুন আলু বাজারে আসতে এখনও প্রায় ৫০ দিন সময় লাগবে। এখন যা জোগান আছে তাতে এই মুহূর্তে প্রায় ১ লক্ষ টন আলু কম রয়েছে। সুতরাং বাজারে আবার দাম বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর নতুন আলু বাজারে এলে তার দাম সাধারণত একটু বেশি থাকে। তাই আলুর দাম নিয়ে মধ্যবিত্তরা চিন্তা করছেই।
এদিকে তদন্তে উঠে এসেছে, ভিন রাজ্যে বাংলার আলু একাধিক সীমান্ত দিয়ে পাচার হযেছে বাংলাদেশে। তাই আলুর জোগানে এখন টান পড়েছে। কৃষি বিপণন দফতরের এক অফিসার জানান, এই বাংলার আলু যারা পাচার করেছে তাদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। আলুর দাম নাগালে না আসায় ক্ষুব্ধ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিন রাজ্য বাংলার আলু রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারই মধ্যে লুকিয়ে ভিন রাজ্যে লাগাতার আলু পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার খুচরো বাজারে আলুর দাম কমেনি দেখা গেল।তবে নজর রাখছে সরকারি টাস্ক ফোর্স। হানা দিচ্ছে বাজারে।
ইতিমধ্যেই শুক্রবার নবান্নের বৈঠক থেকে ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, দাম না কমলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তারপরও দাম কমল না। এখন বাজারে জ্যোতি আলুর দাম কেজি প্রতি ৩৫ টাকা। চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৪০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেখানে টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে সোমবার বলেছিলেন, কলকাতার পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজিতে ১ টাকা কমে ২৮ টাকা হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার দাম আরও কমবে। খুচরো বাজারে প্রভাব পড়বে। কিন্তু গৃহস্থরা এই ভরসায় বুক বেঁধে বাজারে গিয়ে দেখলেন পরিস্থিতি যা ছিল তাই।