আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবাস থেকে উদ্ধার হল পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম আবদুল রহমান (২৪)। ওই পড়ুয়ার বাড়ি মালদার বৈষ্ণবনগরে। সোমবার রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ১৮ তলা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। তৃতীয় বর্ষের এই ছাত্র কারও সঙ্গে ঝামেলা–ঝঞ্ঝাটে যেতেন না। তাহলে আত্মহত্যা করলেন কেন? এটা কি আত্মহত্যা নাকি খুন? এই ঘটনার নেপথ্য কারণ কী? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এদিকে টেকনো সিটি থানার পুলিশ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ তলায় পৌঁছে গিয়েছে। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় প্রাথমিকভাবে সবাই আত্মহত্যা বলেই করছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আবদুল রহমানের সঙ্গে এক যুবতীর প্রণয় ছিল। সেই প্রেমিকার সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি এবং মতবিরোধ হয়। আর সেই কারণেই আত্মঘাতী হন পড়ুয়া। তবে তা উদ্ধার করে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: শরীর কেমন আছে? কালীঘাটের বাড়িতে ভাই কেষ্টকে প্রশ্ন দিদি মমতার, আর কী কথা হল?
অন্যদিকে মালদার এই যুবক তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতেন। গতকাল সন্ধ্যায় আবদুলকে অনেক ডাকাডাকি করেন সহপাঠীরা। কিন্তু হস্টেলের রুম থেকে তাঁর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন রুমের জানালা দিয়ে উঁকি মারতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। তখনই খবর যায় টেকনো সিটি থানায়। সহপাঠীরাই এই খবর দেন। তারপর গোটা বিষয়টি পুলিশ এলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সবার চোখেই আবদুল খবর ভাল ছেলে ছিলেন। তাই তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে মৃতদেহ উদ্ধার করে রেকজুয়ানি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
এছাড়া এখন আবদুলের সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে পুলিশ। আর ওই প্রেমিকাকে খুঁজছে পুলিশ। আবদুলের মোবাইল থেকে অনেক তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কোনওভাবে র্যাগিংয়ের বিষয় আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। ওই পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।