রবিবার থেকে শুরু হয়েছে আলু ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি। আর তাতেই ৫০ টাকা ছুঁয়েছে আলুর দাম। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির ডাকা কর্মবিরতিতে এমন প্রভাব পড়েছে বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলু নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার হরিপালে ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের। আর এই বৈঠক যদি ফলপ্রসূ হয় তাহলে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির ডাকা কর্মবিরতি উঠে যেতে পারে আজই।
এদিকে জ্যোতি আলুর দাম শনিবার পর্যন্ত ছিল কেজি প্রতি ৩৫ টাকা। তারপর থেকেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। কারণ ফুরোচ্ছে আলুর স্টক। গড়িয়াহাট বাজারের বিক্রেতারা জানান, কলকাতার বাজারে ব্যাপক হারে কমে আসছে আলুর স্টক। তাই যেটুকু স্টক পড়ে আছে সেটা মহার্ঘ। আজ, বুধবার থেকে জ্যোতি আলুর নতুন দাম ৪০ টাকা হয়েছে কোথাও কোথাও। চন্দ্রমুখী আলু শনিবার দাম ছিল কেজি প্রতি ৪০ টাকা। একই কারণে এবার তার দাম বুধবার বেড়ে দাঁড়াল ৪৩ টাকা। আর গ্রামবাংলায় এই আলুর দাম ৫০ টাকায় পৌঁছেছে। ৫০ টাকা কেজি দরে আলু কিনে রান্না করতে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের।
আরও পড়ুন: ইউজিসি’র ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ একধাক্কায় কমল, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পড়ল বড় কোপ
অন্যদিকে ভিনরাজ্যে আলুর ট্রাক সীমানায় আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে তাদের কর্মবিরতি। তার জেরে বাজারে আলুর জোগান কমে গিয়েছে। আর একধাক্কায় আলুর দামও বেড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার এই অবস্থার কথা কানে যেতেই মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আলু নিয়ে কোনও ক্রাইসিস তিনি বরদাস্ত করবেন না। আর যতদিন না রাজ্যে আলুর দাম কমছে ততদিন ভিনরাজ্যে আলু পাঠানো যাবে না। কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে এই বিষয়ে দায়িত্ব দেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করতে।