বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। তাই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে চলছিল বিবাদ। আর সেই বিবাদ মেটাতে গিয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল এলাকা। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়ল পুলিশ। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে বাঁশ, লাঠি, ইট-পাথর দিয়ে হামলা চালাল। তাতে ঝরল রক্ত। ঘটনায় ৭ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এমনই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুরের পাথাই গ্রামে।
আরও পড়ুন: বারুইপুরে মাদক উদ্ধারে গিয়ে গ্রামবাসীদের আক্রমণে আহত ১৩ জন পুলিশ
জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে এক জন হলেন মল্লারপুর থানার অতিরিক্ত সাব ইন্সপেক্টর। কেউ হাতে, কেউ পায়ে চোট পেয়েছেন, আবার কারও মাথা ফেটেছে। আহতদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার পরেই এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গ্রাম ঘিরে ফেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে আজ বুধবার সকালে এই গ্রামে উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রথমে গ্রামের এক যুবককে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছয় মল্লারপুর থানার পুলিশ। কিন্তু, ওই যুবক পালিয়ে গেলেও তাকে পুলিশ ধরেনি বলে অভিযোগ। আর তখনই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
জানা গিয়েছে, গ্রামের বাসিন্দা প্রভাত মালের সঙ্গে পাড়ার এক গৃহবধূ মায়া মালের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তা নিয়েই গৃহবধূর স্বামী প্রভাত মালের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। আজ সকালে এই নিয়েই গ্রামে দুপক্ষকে নিয়ে মীমাংসা চলছিল। তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। প্রভাতকে মারধর করা হয়। সেই খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে পৌঁছয়। তখন পুলিশ প্রভাতকে না ধরে বুধু মাল নামে অন্য একজনকে আটক করে। তাতেই গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। গ্রামবাসীরা পুলিশের রাস্তা আটকে বসে পড়েন। আর তারপরেই পুলিশের ওপর চড়াও হয় ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা।