ঘূর্ণিঝড় আমফানের ত্রাণে দুর্নীতির প্রতিবাদে জনতার বিক্ষোভে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ল পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের ঘটনা। বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিও চালায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, অন্যান্য জায়গার মতো পটাশপুরেও আমফানে যাদের বাড়ির সত্যিই ক্ষতি হয়েছে তারা টাকা পায়নি। টাকা পেয়েছে সব পাকা বাড়ির মালিকরা। এই অভিযোগে শুক্রবার এগরা – বাজকুল রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের মোতিরামপুরের বাসিন্দারা। হাতে ছিল তৃণমূলের পতাকা।পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পটাশপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ। উলটে এতে বিক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। চন্দনবাবুকে দেখেই আরও ক্ষেপে ওঠে জনতা। তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। খবর পেয়ে পটাশপুর থানা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ পৌঁছতেই তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি বেঁধে যায় স্থানীয়দের। এরই মধ্যে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পুলিশ। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় শেষে কাঁদানে গ্যাসেল সেল ফাটায়। পুলিশের দাবি জনতা তাদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়েছে। তাতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। ঘূর্ণিঝড় আমফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ দুর্নীতি করে ত্রাণ নিয়ে থাকলে তাঁকে টাকা ফেরাতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাও জেলায় জেলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে থামছে না বিক্ষোভ। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা শাসকদলের কাছে মোটেও ভাল লক্ষ্মণ নয়।