গত বছর গ্যাসের পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায়। বিভিন্ন বাধা কাটিয়ে সেই কাজ অনেকটাই এগোল। পুরসভার পাঁচটি ওয়ার্ডে পাইপ লাইন বসানোর কাজ সম্পন্ন করল গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানি। এবার শুধু বাড়িতে গ্যাস সরবরাহের পালা। যদিও বাড়িতে কবে সরবরাহ করা হবে সেবিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে গ্যাস কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি বাড়ি গ্যাস লাইনের সংযোগ এখনও হয়নি। এরজন্য আরও কিছুটা সময় লাগবে। সেই কাজ হলেই গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে কবে গ্যাস পৌঁছবে সেই আশায় বুক বেঁধেছেন এলাকাবাসীরা।
আরও পড়ুন: হাওড়ায় রান্নার গ্যাসের পাইপ কারখানা হচ্ছে, ১০০ কোটি বিনিয়োগে বিপুল কর্মসংস্থান
গ্যাস কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজপুর-সোনাপুর পুরসভার যে পাঁচটি ওয়ার্ডে পাইপ লাইন সরবরাহের কাজ শেষ হয়েছে সেগুলি হল- ৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১৬ থেকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডগুলির সমস্ত অলিতেগলিতে পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসেছে এই সমস্ত এলাকায়। পরের ধাপে বাড়ির ভিতরে গ্যাসের লাইনের সংযোগ দেওয়া হবে। গ্যাস কোম্পানি জানিয়েছে, প্রধান সড়কের ধারে গ্যাসের মূল পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। সেই পাইপ লাইন থেকে গ্যাস পাড়ায় পাড়ায় পাঠানো হবে। সেখান থেকে গ্যাস পাঠানো হবে বাড়িতে।
ইতিমধ্যেই এই গ্যাসের সংযোগ নেওয়ার জন্য অনেকেই আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে কীভাবে গ্যাসের সংযোগ মিলবে বা লাইন প্রক্রিয়া কী? এরজন্য কত টাকা খরচ হবে? তা ইতিমধ্যেই জানতে চেয়েছেন এলাবাসীদের অনেকেই। জানা গিয়েছে, কামালগাজি থেকে বারুইপুর পর্যন্ত মেন রোডের নীচে দিয়ে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাইপ বসানোর অনুমতি পেয়েছে গ্যাস কোম্পানি। তার মধ্যে আট কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাসের কথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পুরসভার বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, এর ফলে গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার বা সিলিন্ডার বয়ে আনার ঝুঁকি কমবে। কারণ অনেকেই বহুতল বাড়িতে থাকেন। কেউ চার তলায় আবার কেউ তিন তলায় থাকেন। লিফট না থাকায় সেক্ষেত্রে ডেলিভারি বয় সিলিন্ডার উপরে তুলতে চান না। তাতে সমস্যা হয়। বাড়ি বাড়ি গ্যাস সরবরাহ হলে সেই সমস্যা মিটবে।