তাজপুর বন্দর নিয়ে পাকা কথা হয়ে গিয়েছে আগেই, এবার হলদিয়াতে ফের আসতে চলেছেন ৭০ কোটি টাকার বিনিয়োগ। বাংলায় ছোট বড় কিংবা মাঝারি শিল্পের বিনিয়োগের জন্য রাজ্য সরকার উঠেপড়ে লাগলেও বিগত বহু বছর ধরেই তেমন অগ্রগতি হচ্ছিল না। অবশেষে কিছুটা হলেও যেন শিকে ছিঁড়ল বাংলার ভাগ্যে। পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পশহর হলদিয়ায় বিনিয়োগ আনার জন্য চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। শিল্পের জন্য এলাকার মানুষ প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের মতামত জরুরী, সেই উপলক্ষ্যেই ‘পেট্রোকার্বন এন্ড কেমিক্যাল প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থাটি শুক্রবার অর্থাৎ, গতকাল একটি সভার আয়োজন করে।শিল্পের বিনিয়োগ নিয়ে এলাকার মানুষ কিংবা প্রশাসন কার কী মতামত, সেই নিয়েই হয় ভাব বিনিময়। ‘পেট্রোকার্বন এন্ড কেমিক্যাল প্রাইভেট লিমিটেড’ হলদিয়ায় প্রায় ৭০ কোটি টাকার শিল্প বিনিয়োগ করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। হলদিয়াতে শিল্প গড়ে উঠলে চারপাশের পরিবেশের ওপর তার কী প্রভাব পড়বে, পরিবেশ দূষণই বা কতটা হবে; সেই নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। পেট্রো কার্বন অ্যান্ড কেমিক্যালস প্রাইভেট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার কৌস্তভ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘হলদিয়াতে জলের কোনও সমস্যা নেই। বিদ্যুৎ নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে। শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি প্রয়োজন বিদ্যুৎ। রাজ্যে আসানসোল, দুর্গাপুর যেগুলি ডিভিসির এরিয়ার মধ্যে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদ তাদের জন্য বিদ্যুৎ বিল কম নিচ্ছে। হলদিয়াতে সেই তুলনায় ইউনিট পিছু ২ টাকা করে বেশি নিচ্ছে।’সংস্থাটির ম্যানেজার আরও বলেন, 'যাতে বাংলায় সব শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ-এর বিল এক হয় তার আবেদন জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। বিদ্যুৎ ছাড়া সব রকম পরিষেবা হলদিয়াতে মিলছে।' প্রসঙ্গত কেন্দ্র থেকে দূষণ সংক্রান্ত ছাড়পত্র মিলেই ৮ মাসের মধ্যে হলদিয়ায় শিল্প বিকাশের প্রাথমিক ধাপ শুরু করা হবে বলেই মনে করছে সংস্থার আধিকারিক থেকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সকলেই। এর ফলে বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অনির্বাণ কোলে জানিয়েছেন, ‘যাতে আইনগত যাবতীয় বাধ্য বাধ্যকতা মেনে চলা হয় সেই দিকে নজর দেওয়া হবে। সমস্ত আইনি দিকগুলি অবশ্যই মান্য করে চলতে হবে।’ ফলে আশা করাই যায় পেট্রো কার্বন শিল্পের সূচনা হতে চলেছে শিল্প শহর হলদিয়ায়।