বেঙ্গালুরু থেকে ধরা পড়ল নৈহাটির বান্টি ও বাবলি, বিশ্বজিৎ মজুমদার ও সোমাশ্রী লাহিড়ী। তাঁদের বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ রয়েছে। ২৫ আগাস্ট বেঙ্গালুরু থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নৈহাটি এনেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই মঙ্গলবার সকালে তাঁদের বাড়ির সামনে টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।গত ২০ মে বিশ্বজিৎ ও সোমাশ্রীর প্রতারণার খবর প্রকাশ্যে আসেন। নৈহাটির অরবিন্দপল্লির একাধিক বাসিন্দা তাঁদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ততক্ষণে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন কত্তা - গিন্নি। কেউ দাবি করেন, মোটা সুদের লোভ দেখিয়ে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে তারা। কারও দাবি, চাকরির নাম করে মোটা টাকা নিয়েছে দুজনে। এমনকী বিশ্বজিত ও সোমাশ্রীর আত্মীয় ও বন্ধুরাও টাকা খোয়া গিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান। এর পর নৈহাটি থানায় দায়ের হয় একগুচ্ছ অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রায় ৩ মাস পর বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার হলেন দম্পতি।বিশ্বজিতের মা শেফালীদেবী জানিয়েছেন, ছেলে আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখত না। ওরা আলাদা থাকত। কী করত আমি জানি না। আমার কাছ থেকে ছেলে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। সেই টাকা আজও ফেরত দেয়নি। শেফালীদেবী জানান, ছেলে এরকম ছিল না। বউমার খুব চাহিদা। তাই ও এই পথে নেমেছে। আমি চাই ওদের শাস্তি হোক।সোমাশ্রীর পিসি দেবযানী বৈরাগী জানিয়েছেন, ব্যবসায় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে আমার কাছে ১৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিল ভাইঝি। জমানো টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা ওকে দিই। বাকি টাকা দিয়েছিলাম গয়না বন্ধক রেখে। বলেছিল, আস্তে আস্তে ফেরত দেবে। আজ পর্যন্ত একটা টাকাও ফেরত দেয়নি।মঙ্গলবার অভিযুক্তদের বারাকপুর আদালতে পেশ করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে প্রতারণার ধরণ ও টাকা কোথায় গেল তা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ। ওদিকে ধৃতদের নৈহাটি থানায় আনা হয়েছে এই খবর ছড়াতে অরবিন্দ পল্লিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।