তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ২০১৭ সালে খুন হয়েছিল রেল মাফিয়া শ্রীনু নাইডু। পার্টি অফিসে ঢুকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আজ সেই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বাসব রামবাবু–সহ ১৩ জনকে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিল মেদিনীপুর আদালত। ঠিক ৬ বছর আগে খড়্গপুর পুরসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় শ্রীনু নাইডুকে। শ্রীনুর পাশাপাশি গুলি লেগে মারা যায় ভি ধর্মা রাও। এই ছিল শ্রীনুর সহযোগী।
সালটা ছিল ২০১৭। তারিখ ১১ জানুয়ারি। ভরদুপুরে খড়্গপুর পুরসভার নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্ড কমিটির অফিসে বসেছিলেন শ্রীনু নাইডু। তখন আচমকা কয়েকজন এসে গুলি করে শ্রীনুকে। তারপর মারা যায় খড়্গপুরের এই রেল মাফিয়া। এই হামলায় জখম হন তিনজন। এই হত্যাকাণ্ডের পর খড়্গপুরের আর এক রেল মাফিয়া বাসব রামবাবুকে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর তদন্তে নেমে এই খুনের ঘটনায় মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মামলায় আজ, মঙ্গলবার মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক মন্দাক্রান্তা সাহার এজলাসে রামবাবু–সহ ১৩ জনকেই বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে আদালতেল এই রায়ে হতাশ হয়েছেন শ্রীনুর পরিবার। তাঁর স্ত্রী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাবেন বলেই খবর। এই রেল মাফিয়া বাসব রামবাবুর নানা কারবার আছে। সেখান থেকেই কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছে সে। মানস এবং গৌতম চৌবে খুনে রামবাবুর হাত ছিল। এই দু’জন খড়্গপুরের সিপিআই নেতা নারায়ণ চৌবের দুই ছেলে। তাঁদেরকে খুন করার জেরে যাবজ্জীবন সাজা হয় রামবাবুর। রামবাবু জেলে ঢুকে গেলে শ্রীনু দখল করে ফেলে যাওয়া সেই কালো পথ। শ্রীনুর সঙ্গে রামবাবুর পরিচয় ঘটে জেলে। তবে রামবাবু জামিনে মুক্ত হয়ে জেলের বাইরে আসে। তারপর বাইরে আসে শ্রীনুও।
আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর নয়াদিল্লি অভিযান হবে’, কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক
কিন্তু বাইরে এসে বুঝতে পারে রামবাবু আবার শ্রীনুর বানানো পথ দখল করে নিয়েছে। তখন থেকেই দু’জনের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত। এমনকী তা থেকে রামবাবুর উপর শ্রীনু হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই হামলায় বেঁচে যায় রামবাবু। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে শ্রীনুর স্ত্রীকে টিকিট দেয় বিজেপি। কিন্তু নির্বাচনে জিতেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন শ্রীনুর স্ত্রী পূজা। তখন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে সক্রিয় ভূমিকা নেয় শ্রীনুও। তারপরই শ্রীনুকে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কর হয়।