এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হল আজ, শুক্রবার ৩ জুন। মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী, তৃতীয় স্থানে রয়েছে দু’জন পড়ুয়া। ৬৯১ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে এই দুই পড়ুয়া। আসানসোল উমারানী ঘরাই মহিলা কল্যাণ গার্লস হাইস্কুলের অনন্যা দাশগুপ্ত এবং চোরেপালিয়া শ্রী শ্রী বাসন্তী বিদ্যাপীঠের দেবশিখা প্রধান তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
কেমন ছিল অনন্যার মাধ্যমিকের চ্যালেঞ্জ? খাওয়া এবং স্নান এই দুটো বাদ দিলে দিনের বেশিরভাগ সময়েই পড়াশোনা করত অনন্যা দাশগুপ্ত। তবে সারারাত জেগে পড়াশোনা করার অভ্যাস ছিল না। বাড়িতে বাবা–মা পড়া নিয়ে বাড়তি চাপ দিতেন না। তবে নিয়মিত অনুশীলন করে যেতে বলতেন। আর এই নিয়মিত অনুশীলনই সাফল্য এনে দিয়েছে।
কী প্রতিক্রিয়া তৃতীয় হওয়া ছাত্রীর? এই বিষয়ে অনন্যা দাশগুপ্ত সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘খুব ভাল লাগছে। বেশিরভাগ সময় কাটত পড়ার বই নিয়ে। তবে এভাবে পরের পরীক্ষাগুলিতেও যেন ভাল ফল করতে পারি। সেদিকে বেশি করে নজর দেব। আর যেন স্কুল বন্ধ না হয়। করোনাভাইরাসের জন্য খুব ক্ষতি হয়েছিল পড়াশোনার।’ কী বলছেন অনন্যার বাবা? মেয়ের সাফল্য নিয়ে বাবা শুভ্র দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমি পেশায় শিক্ষক। তাই ওর পড়াশোনায় আমার নজর বেশি ছিল। যেটুকু সময় পেতাম আমি নিজেও ওকে পড়াতাম। অনন্যা পড়ার পাশাপাশি অনেক বেশি লিখত।’
ঠিক কী লিখেছেন টুইট বার্তায়? মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লেখেন, ‘মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতী পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের জেলায় ছেলেমেয়েরা অসাধারণ ফলাফল করেছে। শহরের ছাত্রছাত্রীরাও আমাদের গর্বিত করেছে। সকল অভিভাবক, শিক্ষক–শিক্ষিকাদের কুর্নিশ জানাই। খুব দ্রুতই এই বছর পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। ২০২৩ সালের পরীক্ষার সূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে যারা এই বছর উত্তীর্ণ হতে পারেনি বা আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তারা হতাশ হও না। ভবিষ্যতের জন্য লড়াই জারি রাখো।’