মাধ্যমিকের মূল্যায়নের প্রক্রিয়া চলছে। এই পরিস্থিতিতে পর্ষদে স্কুলগুলির তরফে জমা পড়েছে পড়ুয়াদের নবম শ্রেণীর নম্বর। এই নম্বরের উপর ভিত্তি করেই প্রকাশিত হবে মাধ্যমিকের ফল। তবে প্রথম দফায় যে নম্বর জমা পড়েছে তাতে একাধিক ভুল রয়েছে বলে অভিযোগ। এরই মাঝে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নবমের প্রাপ্ত মার্কস ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিয়েছিল পর্ষদ। তবে এরপরই ৬২৩টি স্কুল নম্বর সংশোধনের আর্জি জানায়। দাবি করা হয়, তাড়াহুড়ো করে পাঠাতে গিয়ে ভুল নম্বর পাঠিয়েছে তারা। এই দফার সংশোধনের পর ফের একই আর্জি। নবমের নম্বর কমাতে বা বাড়াতে চেয়ে পর্ষদে মেল, ফোন একাধিক স্কুলের। এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত পড়েছে পর্ষদের।
২১ থেকে ২৪ জুনের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণির নম্বর জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই সময়ের মধ্যে ৯ লক্ষ ৭২ হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর জমা পড়েছে। এখনও ২৪ হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর জমা পড়েনি। এর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ নম্বর আপলোড হয়েছে, কোথাও আবার ভুল নম্বর আপলোড হয়েছে। অনেক স্কুলই এই ক্ষেত্রে নিজেদের ভুল মেনে নিয়েছে। এই আবহে নতুন করে স্কুলগুলির জন্যে নম্বর আপলোড করার পোর্টাল খুলে দেওয়া হয় রবিবার সকাল ১১টা থেকে সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত।
এই বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন করে ৬২৩টি স্কুলকে নম্বর সংশোধনের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। অবশ্য তার পরেও বহু স্কুল আবেদন করছে তারা পড়ুয়াদের ভুল নম্বর পাঠিয়েছে, এখন তা সংশোধন করতে চায়। এর আগে স্কুলগুলিকে পাঠানো নির্দেশে পর্ষদের তরফেবলা হয়েছিল, প্রত্যেকটি পড়ুয়ার নাম এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভালো করে মিলিয়ে নিয়ে পাঠাতে হবে। গরমিল থাকলে সেই স্কুলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও উল্লেখ আছে নির্দেশিকায়। এই নির্দেশিকা সত্ত্বেও পর্ষদের তরফে জানা গিয়েছে, অনেক স্কুল পরীক্ষার্থীর সংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যক পড়ুয়ার নম্বর জমা দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার বিষয়ভিত্তিক নম্বরও ভুল দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে যাদের মাধ্যমিকে বসার কথা তাদের নবম শ্রেণীর তিনটি পরীক্ষার গড় করে তার বিষয়ভিত্তিক শতাংশের হার ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হত স্কুলগুলিকে। বেশকিছু স্কুল থেকে অভিযোগ আসে, ওয়েবসাইটে নম্বর আপলোডের সময় সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের। বহু ক্ষেত্রে স্কুলগুলির পাঠানো নম্বরে মিলছে অসঙ্গতি। এখনও পর্যন্ত শতাধিক স্কুলের জমা দেওয়া নম্বরে গরমিল মিলেছে বলে খবর। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও স্কুলের পাঠানো নম্বরে গরমিল থাকলে সেই স্কুলের মার্কস রেজিস্টার চেয়ে পাঠাবে পর্ষদ।