উপনির্বাচনের চার কেন্দ্রে বিজেপি ধরাশায়ী হলেও খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ এখানে একদা বামেদের দুর্গ ছিল। কালের গতিতে তা এখন নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু খড়দহ বিধানসভার উপনির্বাচনে এবার বিজেপির সঙ্গে টক্কর দিয়েছে বামফ্রন্ট। এখানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে। আর এখানের এই টক্কর বামেদের অক্সিজেন জুগিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।ঠিক কী ঘটেছে খড়দহে? উপনির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি এখানে ভোট পেয়েছে ২০২৫৪। আর বামফ্রন্ট প্রার্থী এখানে ভোট পেয়েছে ১৬১১০। সুতরাং ব্যবধান দাঁড়াচ্ছে দু’জনের মধ্যে ৪ হাজার ১৪৪। এমনকী গণনার সময় বেশ কয়েকবার বামেদের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে দেখা যায়। সেখানে সামান্য কিছু ভোটে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে তারা। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, বামেদের ফল কেন এমন হল? এই বি্ষয়ে সিপিআইএমের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার পিছনে ১০০টি স্ট্যাম্প লাগান। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক ও অসত্য স্ট্যাম্প লাগাবেন না। খড়দহ নির্বাচনে দল দায়িত্ব দিয়েছিল। আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি দলকে দ্বিতীয় স্থানে তুলে আনার। প্রথম দিকে সেটা হলেও শেষ দু’তিনটে রাউন্ডে পিছিয়ে পড়েছি। তবে তা নিয়ে মূল্যায়ন করতে হবে।’ যদিও দুর্বল সংগঠনের কথা তিনি বলেননি।আবার এখানে তৃণমূল কংগ্রেস যে পরিমাণ ভোট পেয়েছেন তার সামনে কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ১১৪০৮৬ ভোট পেয়েছেন। জয়ের ব্যবধান ৯৩৮৩২। সেখানে বিরোধীরা ধারে কাছে আসতে পারেনি। আর বামেদের কোনও হেভিওয়েট প্রার্থী ছিল না। সেখানে এই ফলাফল এবং কখনও কখনও দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা নিঃসন্দেহে অক্সিজেন দিচ্ছে। তাই তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি আদর্শের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমার রক্তের রঙ লাল। সেই লাল রঙকে ফিকে হতে দেব না। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কলকাতায় বিজেপি আর ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস হতে পারব না।’