দিঘার জগন্নাথ ধাম। একেবারে সাজো সাজো রব। সবার চোখ ৩০শে এপ্রিল। অনেক দিনের স্বপ্ন। সেটাই পূরণ হবে। ৫ লাখ ১ হাজার টাকার সোনার ঝাড়ু দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশাল প্রকল্প। আর এবার দিঘার জগন্নাথ ধামকে ঘিরে বিরাট আশার আলো দেখালেন খোদ বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী।
সর্বভারতীয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলছেন,'জগন্নাথধাম উদ্বোধন সেটা আমাদের একটা দীর্ঘদিনের একটা কল্পনা ছিল। বাংলার একটা নতুনত্ব যা হাজার হাজার বছর ধরে থাকবে। বাংলার মানুষ সহ বিশ্বের মানুষ সহ সারা পৃথিবীর মানুষ তীর্থস্থান ও ধর্মস্থান হিসাবে, দিঘাতে এমনিতেই টুরিস্ট স্পট রয়েছে, এটা একটা নতুন কর্মক্ষেত্র, এই হিসাবে অনেক বাজার গড়ে উঠবে, মানুষ কর্মকাণ্ডে জড়িত হবেন, পৃথিবীর ইতিহাসে, পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন সংযোজন হবে। আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাচ্ছি।' বলেন মমতা।
বাস্তবিকই ৩০শে এপ্রিল যত এগিয়ে আসছে, ততই বদলে যাচ্ছে দিঘার চালচিত্র। সেজে উঠছে দিঘা স্টেশন সংলগ্ন এলাকা। আয়োজনে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে তার সবরকম নজর রাখা হচ্ছে। একাধিক মন্ত্রী খোঁজ নিচ্ছেন আয়োজনের ব্যাপারে। কোথাও যাতে ত্রুটি না থাকে।
তবে এসবের মধ্য়েই একটা বিষয় নিয়ে জোর চর্চা চলছে। দিঘার এই মন্দিরকে ঘিরে এলাকার আর্থ সামাজিক পরিবেশে কতটা বদল হবে?
স্থানীয়দের একাংশের মতে, মন্দির দর্শনের জন্য অনেকে টোটো ভাড়া করবেন। সেদিক থেকে একেবারে প্রান্তিক মানুষদের সুবিধা হবে। হোটেলের সংখ্যা বাড়তে পারে। এর জেরে হোটেলকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতে পারে। সেই সঙ্গে দিঘার মন্দির দেখার জন্য দিঘাতে থাকার মেয়াদ যদি বাড়িয়ে দেন পর্যটকরা সেক্ষেত্রে তার সুফল পাবেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। সেই আশায় দিন গুনছেন অনেকে। সেকারণে একাধিক হোটেলকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। সেই সঙ্গেই দিঘাতে রেস্তরাঁগুলিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
এদিকে সুরক্ষার স্বার্থে গোটা এলাকায় সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে। একজায়গায় বেশি মানুষ যাতে একই সঙ্গে আসতে না পারেন সেটাও দেখা হবে। দিঘামুখী রাস্তায় যাতে যানজট না হয় সেকারণে উন্নত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই জগন্নাথ ধামকে কেন্দ্র করে দুটি নতুন স্নানের ঘাট তৈরি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে একেবারে নতুন সাজে সেজে উঠছে দিঘা। তার কেন্দ্রে জগন্নাথধাম।