দিঘায় তৈরি হয়েছে জগন্নাথধাম। ইতিমধ্য়েই এই জগন্নাথধাম নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলছে ওড়িশা সরকার।এমনকী একাধিক বিষয় নিয়ে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে ওড়িশা সরকার। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত গত ৩০ এপ্রিল দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
বহরমপুর ডিএম অফিসের সামনে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন মমতা। প্রসঙ্গত কাল বুধবার ধুলিয়ানে যাবেন মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, জগন্নাথধাম নিয়ে এত হিংসা? যখন আপনাদের আলুর টান পড়ে বাংলা জোগায়।
মমতা বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি কালিঘাটের স্কাইওয়াক করলে কোয়েশ্চেন হয় না। মমতা ব্যানার্জি দক্ষিণেশ্বেরর স্কাইওয়াক করলে কোয়েশ্চেন হয় না। মমতা ব্যানার্জি দুর্গাপুজো করলে তখন কোয়েশ্চেন হয় না।। মমতা ব্যানার্জি কালীপুজো করলে কোয়েশ্চেন হয় না। জগন্নাথধাম টা খুব গায়ে লেগেছে না! বলা হচ্ছে আমি নাকি নিমগাছও চুরি করেছি। আরে আমার বাড়িতেই তো চারটে নিমগাছ আছে। কটা দরকার জিজ্ঞাসা করুন। আমাদের চুরি করতে হয় না। চুরি বিদ্যা ভয়ঙ্করী যদি সে পড়ে ধরা। যারা চোর…চোরের মায়ের বড় গলা। তুমি যদি হিন্দু ধর্মের সমর্থক হও, মমতা ব্যানার্জি নিমকাঠ চুরি করে জগন্নাথধাম করেছে মমতা ব্যানার্জির এই অবস্থা হয়নি। আমাদের মূর্তি তো মার্বেলের ছিল। আমাদের বাড়িতেই তো আছে। আপনাদের অনেকের বাড়িতেই আছে। ওটা নিয়ে এসেছেন দ্বৈতপতি। যে জায়গা থেকে বলা হচ্ছে সেই জায়গা থেকে নয়। তাকে ডাকা হয়েছিল শুনেছি। তিনি স্ট্রেট বলে দিয়েছেন, তোমরা যেটা বলেছ সেটা নয়। আমি আমার অন্য জায়গা থেকে করেছি। তাকে আবার কোয়েশ্চেন করা হয়েছিল তুমি কেন পুজো করতে গিয়েছিলে? নোটিফিকেশন দিয়েছে কেউ যাবে না জগন্নাথধামে। কোনও পুরোহিত। আবার তাকে বলা হচ্ছে, কী একটা যেন বলা হচ্ছে। তিনটে পয়েন্ট বলেছে। কোনও একটা মিডিয়াতে। এত গায়ে লাগছে কেন? আমরা তো সবাই পুরীতে যাই। আমরা তো এই প্রশ্ন করি না। আমি তো পুরীতে গেলে আরএসএস বিক্ষোভ দেখায়, বিজেপি বিক্ষোভ দেখায়। ভুলে গেছেন। লজ্জা করে না।’
মমতা বলেন, ‘জগন্নাথধাম নিয়ে এত হিংসা? যখন আপনাদের আলুর টান পড়ে বাংলা জোগায়। আমি ওড়িশাকে ভালোবাসি। যখন আপনাদের সাইক্লোনে ইলেকট্রিসিটি সব ভেঙে যায় সমস্ত রাস্তার পাইপগুলো..নষ্ট হয়ে যায় তখন আপনারা আমাদের ইঞ্জিনিয়ার চান। আমাদেরও সাইক্লোন হয় তা সত্ত্বেও আমরা পাঠাই। আমাদের বাংলার পুলিশরা সবথেকে বেশি যায় ওড়িশায়। জগন্নাথদেবের উল্টোরথে বলুন, সোজা রথে বলুন সারা বছর ধরে। আমরা যদি একটু জগন্নাথধাম করি তবে আপনাদের আপত্তির কি আছে? আপনারাও ভালো থাকুন, বাংলাও ভালো থাকুক। আপনারা কেন আমাদের লোকেদের ধরে মারছেন। আমাদের কাছে খবর এসেছে ওড়িশায় বাংলায় কথা বললেই তাকে মারা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রেও হয়েছে। উত্তরপ্রদেশেও হয়েছে। বিহারেও হয়েছে। আমি শুধু একটা কথা বলব আপনারা আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকের উপর বাংলায় কথা বলছে বলে অত্যাচার করছেন। আমরা কিন্তু করব না। এটাই আপনাদের সঙ্গে আমাদের তফাৎ। আমার এখানেও দেড় কোটি বাইরের লোক আছে কাজ করে। সব ধর্মের সব বর্ণের, সব রাজ্যের। …আমি না করলেও হিংসুটে লোকের তো অভাব নেই। হিংসার কোনও ওষুধ আছে। এরাই কোনও সংগঠনের নামে কাউকে কাউকে থ্রেট করে চলে আসবে। আমি চাই না কারোর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হোক। আমি তাই ওড়িশা সরকারকে, বিহার সরকারকে রাজস্থান সরকারকে চিফ সেক্রেটারি চিঠি পাঠাচ্ছেন, ডিজি সম্ভবত কথা বলেছেন, আপনাদের সুমতি হোক। শুভ বুদ্ধি হোক। শকুনি মামা দয়া করে হবেন না। লাল শাক, আর লাউ শাক এক নয়।’