ইতিহাসের সাক্ষী থাকা বনবাংলো কয়েকদিন আগে আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হয়ে যায়। জঙ্গলে ঘেরা সবুজ রঙের সেই বাংলো অনেক কিছুর সাক্ষী। এখানেই একদা অবসর সময় কাটাতে আসতেন প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। হ্যাঁ, এটি হলং বনবাংলো। পর্যটকদের অন্যতম তীর্থস্থান হিসাবেই ধরা হয়। কিছুদিন আগে হলং বন বাংলো পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। বাংলোর পুনর্নির্মাণ করার দাবি ওঠে নানা মহল থেকে। এবার সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে। পর্যটকদের জন্য এটাই সুখবর। দুর্গাপুজোর পরে খুলে দেওয়া হতে পারে হলং বনবাংলো। এখন সংস্কারের কাজ করছে বন দফতর বলে জানালেন রাজ্যের বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তবে হলং বনবাংলোর স্থাপত্যশৈলী অটুট থাকছে।
হলং বনবাংলোয় আগুন লেগেছিল গত ১৮ জুন। তাতে জলদাপাড়ার এই ঐতিহ্যশালী বাংলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই বাংলোতেই ছিল বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কাঠের তৈরি আসবাব। পর্যটকদের কাছে হলং বাংলো ভালবাসার। এই বনবাংলো প্রত্যেক বছর ১৫ জুন থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ থাকে। তখন এসি, গিজার, আলো মেরামতির কাজ চলত। গত ১৮ জুন রাতে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয় হলং বনবাংলোর। কেমন করে আগুন লেগেছিল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে হলং বাংলোয়।
আরও পড়ুন: দিঘা থেকে ফেরার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, মোটরবাইক–গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ, একসঙ্গে মৃত চার
এখানে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও উঠেছিল। যদিও সেটা খারিজ করে দেয় বন দফতর। এখন অতীতকে ভুলে হলং বাংলোকে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে এই খবর মিলেছে। আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ট্যুর অপারেটররা চিঠি লিখে জানান। এমনকী হলং বাংলোয় কাটিয়ে যাওয়া পর্যটকরাও মুখ্যমন্ত্রীকে স্মৃতির কথা জানিয়ে চিঠি লেখেন এবং পুনরায় গড়ে তোলার অনুরোধ করেন। তাতেই সাড়া দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলোটি দুর্গাপুজোর পর সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।