বীরভূমের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নামে চিকিৎসা সংক্রান্ত দেওয়া শংসাপত্রে নাম রয়েছে জেলার রামপুরহাট-১ ব্লকের বিএমওএইচ হিটলার চৌধুরীর। এবার এই ‘হিটলার’-কে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। একের পর এক কীর্তির অভিযোগ উঠেছে। এবার আরও গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, অফিসে না গিয়েও হাজিরা খাতায় সই করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সরকারি পদে থেকেও এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন আরএমও হিসেবে। তার জেরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে বীরভূমে।
আরও পড়ুন: SDPO অফিসে ২ ঘণ্টা জেরা!বেরিয়েই কেষ্ট গেলেন পার্টি কার্যালয়ে, সেখান থেকে কোথায়?
সূত্রের খবর, সরকারি দফতরে দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় তাঁর স্বাক্ষর স্পষ্ট। অথচ গত কয়েকদিন ধরে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গিয়ে খোঁজ করেও দেখা মেলেনি ওই চিকিৎসকের। এমনকী কর্তব্যরত অন্য আধিকারিকরাও জানাতে পারেননি, তিনি সরকারি কাজে বাইরে রয়েছেন কিনা। টিভি৯ বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাগজে-কলমে তিনি উপস্থিত থাকলেও সশরীরে ছিলেন না 'হিটলার' চৌধুরী।
আরও আশ্চর্যের বিষয়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, নন-প্র্যাকটিসিং পোস্টে থেকে কোনও চিকিৎসকের বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে অভিযোগ উঠেছে, অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এক তৃণমূল নেতার মালিকানাধীন হাসপাতালে তাঁকে নিয়মিত কাজ করতে দেখা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে তাঁর মাথার ওপর ঠিক কার হাত রয়েছে? যার জোরে এত কিছু করার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।এ বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরাও কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না।