এই ট্রাকের চালক অসমের বাসিন্দা। বর্ধমানে জিপিএস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতেই কোনওভাবে ধরা যায়নি। এমনকী ট্রাকের মালিক ও চালকের মোবাইলের সুইচড অফ। এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও চক্র কাজ করছে বলে মনে করছে পুলিশ। হাইজ্যাকটা হল কোথায়? এইটা খুঁজছে পুলিশ। কারণ যদি সেটা বাংলায় হাইজ্যাক হয় তাহলে খোঁজা অনেকটা সোজা।
ট্রাক হাইজ্যাক। প্রতীকী ছবি।
হলদিয়া থেকে অসম যাচ্ছিল একটি ট্রাক। কিন্তু অসম পৌঁছনোর আগেই ওই ট্রাকের আর কোনও হদিশ পাওয়া গেল না। এই মাঝপথে রহস্যজনকভাবে উধাও হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে বন্দরশহরে। কারণ ওই ট্রাকে করে যাচ্ছিল ৪৫ লক্ষ টাকার দামি ব্যাটারি। দুর্গাচকে রয়েছে এক্সাইড ব্যাটারি কারখানা। সেখান থেকেই মাল বোঝাই করে ট্রাকটি অসমের পথে রওনা হয়। তবে হলদিয়া থেকে যাত্রা শুরু করলেও ১২ দিন পরও ওই ট্রাকের কোনও হদিশ মেলেনি। তাহলে কি ট্রাকটিকে মাঝপথে হাইজ্যাক করা হল? উঠছে প্রশ্ন।
ইতিমধ্যেই এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। জিপিএস দিয়েও ওই ট্রাককে ট্র্যাক করা যাচ্ছে না। ব্যাটারি–সহ ট্রাকটি হাইজ্যাক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত আড়াই মাসে হলদিয়া থেকে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়া ৭টি ট্রাক হাইজ্যাক হয়েছে বলে খবর। দামি পণ্যসামগ্রী লুঠ করতেই এভাবে হাইজ্যাক করা হয়। প্রমাণ লোপাট করতে সংশ্লিট ট্রাকের চালক ও খালাসিকে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এমন সব তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে। এই জুন মাসের প্রথম ১৫ দিনে দু’টি ট্রাক হাইজ্যাক হয়েছে। লক্ষাধিক টাকার পণ্য হাপিস হয়েছে। এই মাসে প্রথমে ২৫ লক্ষ টাকার ভোজ্যতেল বোঝাই ট্রাক হাইজ্যাক হয়। তারপরই ৪৫ লক্ষ টাকার ব্যাটারি বোঝাই ট্রাক হাইজ্যাক হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই মাসেই হলদিয়ার এক্সাইড কারখানা থেকে ৩৩৯টি ব্যাটারি নিয়ে একটি ১২ চাকার ট্রাক অসম রওনা দেয়। এই ৩৩৯টি ব্যাটারির বাজার মূল্য ৪৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৭৮ টাকা। ট্রাকটির ১১ জুন অসম পৌঁছনোর কথা ছিল। জিপিএস ট্র্যাকারে ধরা পড়ে ৭ জুন ট্রাকটি শেষ বর্ধমানে দেখা গিয়েছিল। তারপর আর কিছু জানা যায়নি। তবে ট্রাক অসমে না পৌঁছনোর খবর মেলে। তখন ট্রান্সপোর্ট সংস্থা দুর্গাচক থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।