একুশের নির্বাচনের পর থেকেই সংগঠন ভাঙতে শুরু করেছে বিজেপির। এখন দেখা যাচ্ছে বিধায়ক ভাঙতে শুরু করেছে। তাও আবার তীব্র গতিতে। এই পরিস্থিতিতে এখন টাকা–কড়ি নিয়ে দলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়েছে। এমনকী এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দলের কর্মীদের একাংশের। জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপির এক সহ–সভাপতির বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের এক কর্মী টাকা নিযে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। আবার দলীয় অনুষ্ঠানের জন্য নেওয়া হোটেলের ভাড়া মেটানোর বিনিময়ে এক জেলা নেতা কমিশন চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক হোটেল মালিক। এখানেই শেষ নয়, ভোট–পরবর্তী হিংসার ‘শিকার’ হওয়া কর্মীদের ক্ষতিপূরণের টাকা দলের নেতারাই কেটে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এখন রোজই টাকা নিয়ে ঝামেলা চলছে জেলা বিজেপিতে। তাই রবিবার জেলা বিজেপির পদাধিকারীরা জরুরি বৈঠকে বসছেন।বিজেপির বেশ কয়েকজনের অভিযোগ, জেলার এক সহ–সভাপতি চাকরি দেওয়ার নাম করে ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু চাকরি হয়নি। বিষয়টি জেলা সভাপতি জেনেও কোনও পদক্ষেপ করেননি। তখন অভিযোগ পৌঁছয় রাজ্য কমিটিতে। তবে বেগতিক দেখে ওই সহ–সভাপতি ১০ হাজার টাকা গত মাসে ফিরিয়ে দেন। বাকিটা সেপ্টেম্বর মাসে মেটানোর কথা। আর তা না হলে তাঁরা আইনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলা বিজেপির নেতা বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। হয়তো রাজনৈতিক চক্রান্ত করতে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’ দলের নেতারা বাইরে থেকে এলে তাঁদের থাকার জন্য লাটাগুড়ির কয়েকটি হোটেল নিয়মিত বিজেপি ভাড়া নেওয়া হয়। আর এখানের একটি হোটেল মালিক অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির এক জেলা নেতার বিরুদ্ধে। উলটে এক নেতা ওই হোটেল মালিকের থেকে কমিশন দাবি করেছেন বলে অভিযোগ।একুশের নির্বাচনে দলের দেওয়া টাকা খরচের হিসেব এখনও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। দু’টি কেন্দ্র ছাড়া জলপাইগুড়ি জেলার পাঁচ বিধানসভার কোনও হিসেব মেলেনি। তার মধ্যেই বিস্তর টাকা–পয়সা নিয়ে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে জেলার নেতাদের বিরুদ্ধে। তাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। দ্রুত সমস্যা মেটামোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বলে সূত্রের খবর।