যখন সবাই ভোটের অঙ্কের কথা বলছেন তখন কৃষকরা এতে অনেক খুশি হয়েছে। তাছাড়া কৃষকবন্ধু প্রকল্পে যেভাবে বাংলার কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন তাতে তাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই ভরসা রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তার সঙ্গে এই কর ছাড় বাড়তি সংযোজন বলে মনে করা হচ্ছে।
কৃষিজাত পণ্যের আয়কর দিতে হবে না রাজ্যের চাষিদের। (ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
এখন দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার প্রাক্কালে কৃষকদের স্বার্থে বড় পদক্ষেপ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিধানসভায় জানান, আগামী দু’বছর কোনও কৃষিজাত পণ্যের আয়কর দিতে হবে না রাজ্যের চাষিদের। বাংলার বুকে উৎপাদিত কোনও কৃষিজাত পণ্যের উপর কোনও আয়কর বসানো হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে বাংলার কৃষকদের মধ্যে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, এই সিদ্ধান্তে বাংলায় কৃষিজাত শিল্পে বিনিয়োগের রাস্তা খুলে গেল।
এদিকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষের জন্য বাজেট পেশ করেছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তখন তিনি বলেছিলেন, নতুন করে কর না চাপিয়ে কৃষিতে আয়কর ছাড় দিতে চায় রাজ্য সরকার। আর আগামী দু’টি অর্থবর্ষের জন্য কাঁচা চা–পাতার উপর চাপানো গ্রামীণ কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা ক্ষেত্রের সেস প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
অন্যদিকে এবার বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী দু’বছর কৃষিতে আয়কর ছাড় অব্যাহত রাখা হবে। তবে মার্চ মাসেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হতে পারে। এপ্রিল মাস থেকে শুরু হতে পারে ভোট–প্রক্রিয়া পর্ব। তার আগে এমন ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্ক করেই করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের কৃষি মহলের ভোট তৃণমূলমুখী করতেই রাজ্য সরকার আগামী দু’বছরের জন্য কৃষিজাত আয়কর থেকে ছাড় দিল কৃষকদের বলে মনে করা হচ্ছে। আবার লোকসভা নির্বাচনে ফায়দা তুলতেই বাড়িয়ে দেওয়া হল মেয়াদ বলে মনে করা হচ্ছে।