বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Fact Finding Committee on Howrah-Rishra: পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ,হাওড়া-রিষড়ায় NIA তদন্তের দাবি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির
পরবর্তী খবর
Fact Finding Committee on Howrah-Rishra: পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ,হাওড়া-রিষড়ায় NIA তদন্তের দাবি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির
হাওড়া বা রিষড়ায় যেতে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কমিটি। পাশাপাশি এই দুই অঞ্চলে হিংসার তদন্তে এনআইএ-কে নিয়োগ করার সুপারিশও করা হয়।
হাওড়া-রিষড়ায় NIA তদন্তের দাবি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির
হাওড়া ও রিষড়ায় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি অন হিউমান রাইটস ভায়োলেশনের সদস্যরা। তবে সত্যের অন্বেষণে হাওড়া বা রিষড়ায় যেতে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কমিটি। পাশাপাশি এই দুই অঞ্চলে হিংসার তদন্তে এনআইএ-কে নিয়োগ করার সুপারিশও করা হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের মতে, পুলিশ সচেতন থাকলে এই হিংসার ঘটনা ঘটত না। (আরও পড়ুন: সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা বাংলার ৬ জেলায়, বেলা গড়ালে বাড়বে রোদের তেজ)
প্রসঙ্গত, রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের প্রতিনিধিরা দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে হাওড়ার শিবপুরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজাতেই পুলিশ আধিকারিকরা আটকে দেন ওই দলটিকে। পুলিশের এহেন ব্যবহারে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ হন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, রবিবার যেভাবে হাওড়া সিটি পুলিশ আধিকারিকরা প্রতিনিধি দলকে যেতে দিলেন না, তাতে এটা প্রমাণিত হয় যে অশান্তির ঘটনায় পুলিশের প্রত্যক্ষ মদত ছিল। সেই সত্যি যাতে প্রকাশ্যে না চলে আসে তাই তাঁদের রাস্তা আটকাল পুলিশ বলে অভিযোগ প্রতিনিধি দলের। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির তরফে এই প্রসঙ্গে বলা হয়, 'পুলিশ বলছে সিপি নেই, যেমন বাচ্চারা বলে বাবা বাড়িতে নেই। পুলিশ রাজনৈতিক দলের মত কাজ করছে।' (আরও পড়ুন: নবান্নর শাস্তির তোয়াক্কা না করে আজ থেকে দিল্লিতে কর্মসূচি শুরু DA আন্দোলনকারীদের)
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে রামনবমীর দিন হাওড়ার সন্ধ্যাবাজার কাছে অঞ্জনী পুত্র সেনার রামনবমীর মিছিলে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। মিছিলে ইট ও কাচের বোতল ছোড়ারও অভিযোগ উঠেছিল। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে অঞ্জনী পুত্র সেনার সদস্যরা। তাঁদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ায় শিবপুর অঞ্চলে। এই একই ধরনের ঘটনা ঘটে রিষড়ায়। রামনবমীর দু'দিন পর দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে সেখানে এক মিছিল হয়। সেই মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। এরপর রিষড়ায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ায়। এমনকী রেলের ওপরও হামলা হয়। এর জেরে ব্যাহত হয়েছিল রেল পরিষেবা। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি আরপিএফ-ও নামে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এই সব ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতেই রাজ্যে এসেছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। তবে তাদের ঘটনাস্থলে পা রাখতে দেয়নি পুলিশ।