গাড়ি বিক্রির নাম করে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে দুর্গাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রাক্তন কাউন্সিলর মানস রায় এবং তাঁর ছেলে অভ্রনীল রায়কে। অভিযুক্ত মানস রায় দুর্গাপুর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। (আরও পড়ুন: ইউনুস প্রশাসনে ভরসা নেই? বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর বড় বয়ানে উঠল প্রশ্ন)
আরও পড়ুন: ‘র’ এজেন্ট সেজে বিয়ের প্রতিশ্রুতি, সহবাস, প্রতারণার অভিযোগে থানায় শিক্ষিকা
ঘটনার সূত্রপাত গত ফেব্রুয়ারি মাসে। বারুইপুরের সালেপুর এলাকার বাসিন্দা তমাল হালদার পুরনো চারচাকা গাড়ি কেনাবেচা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে ৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকায় একটি গাড়ি বিক্রির প্রস্তাব দেন মানস রায়। তিনি প্রস্তাবে রাজি হয়ে অভ্রনীলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পুরো টাকা ট্রান্সফার করেন। তাঁদের তরফে জানানো হয়, ওই টাকা দিয়ে গাড়িটির উপরে থাকা ঋণ মিটিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও, ব্যাঙ্কের তরফে ১৫ দিনের মধ্যে ‘এনওসি’ তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও কোনও ‘এনওসি’ হাতে পাননি তমালবাবু। এরপর তিনি নিজে ব্যাঙ্কে খোঁজ নিলে অবাক হয়ে যান। জানতে পারেন যে সমস্ত ব্যাঙ্ক ডকুমেন্টস তাঁকে দেওয়া হয়েছিল সেগুলি জাল। আসলে গাড়ির লোনের টাকা ব্যাঙ্কে মেটানোই হয়নি। (আরও পড়ুন: ট্রেনে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটার নিয়মে বড় বদল, কী জানাল রেল?)
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মানস রায় এবং অভ্রনীল রায় তমাল হালদারকে ২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার একটি চেক দেন এবং বলেন, বাকি টাকা দিয়ে গাড়ি তাঁরা নিয়ে নেবেন। কিন্তু সেই চেকও বাতিল হয়। কারণ অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় টাকা ছিল না। এরপর থেকে তাঁরা তমাল হালদারের ফোন পর্যন্ত ধরেননি বলে অভিযোগ। তমালবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে বারুইপুর থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ নিশ্চিত হয় প্রতারণার অভিযোগ সত্যি। তারপরই এসআই দিব্যেন্দু পালের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম দুর্গাপুরে হানা দিয়ে বুধবার রাতে তাঁদের গ্রেফতার করে। (আরও পড়ুন: ইউনুস জমানায় সুইস ব্যাঙ্কে বাংলাদেশিদের টাকার পরিমাণ বেড়েছে ৩৩ গুণ!)
আরও পড়ুন: ভারত সীমান্ত নিয়ে বড় বার্তা বাংলাদেশ সেনার,শোনা গিয়েছিল সংঘাতের ষড়যন্ত্রের কথা
বৃহস্পতিবার ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ছয় দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এর আগেও আর্থিক প্রতারণার মামলায় দুর্গাপুর থানায় এই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল এবং সেই সূত্রে তাঁদের একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঘটনাটি সামনে আসতেই ফের রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শাসকদলের এক প্রাক্তন জনপ্রতিনিধির এমন প্রতারণার অভিযোগে দলের ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।