সম্প্রতি শিবপুর শ্মশানঘাটে একশোর বেশি বেওয়ারিশ লাশ একদিনে পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে এর আগে আদালতের সুনির্দিষ্ট রায় ছিল। কিন্তু তা মানা হয়নি। আদালতের নির্দেশ না মেনে এভাবে পোড়ানোয় ফের হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। এদিন শ্মশানঘাট পরিদর্শন করার পর এই প্রসঙ্গে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত জানান, ‘বলা হচ্ছে, ১০০টির মতো বেওয়ারিশ লাশ পোড়ানো হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, আরও বেশি লাশ পোড়ানো হয়েছে। এগুলি সবই হাওড়া মর্গ থেকে এসেছে।’ অভিযোগের সুরেই পরিবেশবিদ জানান, ‘এভাবে একদিনে এত বেশি লাশ পোড়ানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল। হাই কোর্টও নির্দেশ দিয়েছিল। এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রায়ও দিয়েছিল। কিন্তু আদালতের নির্দেশের অবমাননা করেই এত বেশি লাশ পোড়ানো হয়েছে। আমি আদালতের কাছে আবার যাব। আদালতের কাছে নালিশ জানাব।’ এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি এই শ্মশানঘাট থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে থাকি। রাতে যে একশোরও বেশি চিতা পোড়ানো হয়েছে তার প্রমাণ আমার কাছে আছে। যেভাবে একের পর এক লাশ পোড়ানো হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে আমরা যেন ’৯৫ সালের আগে চলে গেছি।’ একইসঙ্গে পরিবেশবিদ অভিযোগ তোলেন, একদিনে এতগুলি লাশ পোড়ানোর ব্যবস্থা সম্পর্কে অনেকদিন আগেই হাই কোর্ট রায় দিয়েছিল। ফের হাই কোর্টের রায়কে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তাই হাই কোর্টের কাছে যাব। তিনি জানান, দেহ সৎকারে পর যে জল জমা হয়, সেগুলিকে কোনও শোধন ছাড়াই ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে জল দূষিত হচ্ছে। এদিন শ্মশানঘাটে চিতার ছবি নেওয়ার পাশাপাশি হাওড়া মর্গেও যান পরিবেশবিদ। খুব শীঘ্রই এই পরিবেশ সংক্রান্ত মামলাটি হাই কোর্টে যাবে বলে জানান তিনি।