গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। বৃষ্টি নেই। তীব্র গরমে পুকুর, খালের জল কার্যত শুকিয়ে গিয়েছে। প্রখর রোদে বাইরে বেরোলেই তৃষ্ণায় ওষ্ঠাগত হয়ে উঠছে প্রাণ। মানুষের মতো বন্যপ্রাণীরাও জ্বালাপোড়া করা শুষ্ক গরমে ছটফট করছে। আর তৃষ্ণা মেটাতে জলের টানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে হাতি। এবার মাঝ রাতে তৃষ্ণা মেটাতে নাকা পয়েন্টে হানা দিল দাঁতাল। আর জল ও খাবারের খোঁজে বেশ কিছুক্ষণ ধরে নাকা পয়েন্টে তল্লাশি চালাল। জানা গিয়েছে, ওই হাতির নাম রামলাল। অতীতে এক বৃদ্ধকে মেরে ফেলেছিল রামলাল নামের এই হাতি। এদিন হাতিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পুলিশ কর্মীরা।
আরও পড়ুন: উত্যক্ত করার জের, শুঁড়ে তুলে আছড়ে ফেলে দিল হাতি, মৃত্যু প্রৌঢ়র
অন্যান্য দিনের মতোই এদিন নাকা পয়েন্টে চেকিং করছিল পুলিশ। সেই সময় হঠাৎ সেখানে রামলালের আগমন ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার মাঝরাতে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি রাস্তার মাঝে শালবনি এলাকায়। সেখানে একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে নাকা চেকিং পয়েন্টটি রয়েছে। যখন ঝাড়গ্রামের স্টেটিক সারভাইলেন্স টিম ও পুলিশ কর্মীরা ডিউটিতে ছিলেন তখন তারা হাতিটিকে দেখতে পান। এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কর্মরত পুলিশকর্মীরা।
সেখান থেকে পুলিশ নিরাপদ দূরত্বে সরে যায়। তবে রামলাল সেখানে দাপিয়ে বেড়ালেও কারও কোনও ক্ষতি করেনি। বেশ কিছুক্ষণ পেট্রোল পাম্পের ভিতরে ঢুকেও রামলাল শেষমেষ জল খেয়ে স্থানীয় জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।
প্রসঙ্গত, রামলাল এলাকায় অত্যন্ত পরিচিত হাতি। বনদফতর নিয়মিত তার গতিবিধির ওপরে নজর রেখে চলেছে। বছর পাঁচেক আগে পর্যন্ত দলমা থেকে বাঁকুড়ায় একটি হাতির দল এসেছিল। সেই দলের কর্তা হাতির নাম রামলাল রেখেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু, বছর পাঁচেক আগে দলমা থেকে আসা এক বিশালাকার হাতির সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর রামলাল দলছুট হয়ে যায়।তার পর থেকেই কখনও বাঁকুড়া, কখনও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জঙ্গলে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়ে আবার লোকালয়ে হানা দিতে থাকে রামলাল।