অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম থেকেই পুর হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন মহিলা। কিন্তু, প্রসবের সময় আসতেই মহিলাকে নার্সিংহোমে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার তথা চিকিৎসক। শুধু তাই নয়, নার্সিংহোমে প্রসব বাবদ কত খরচ হবে তার দামদরও করলেন। এমনই অভিযোগ উঠল। আর সেই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভায়। এ নিয়ে অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্ত চিকিৎসককে শোকজ করেছে পুরসভা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন : ছেলের গলায় কোপ বসাল বাবা, অপারেশনের সময় ডাক্তারকে ছুরি মারল যুবক
জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম দীপক দাস। পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদ গেটের বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই তাঁর কাছে চিকিৎসা করাচ্ছেন। তাঁর স্বামী জানান, স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই পুরসভার এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসছিলেন। প্রথম থেকে তাঁর চিকিৎসা করছিলেন চিকিৎসক। প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। ১৮ জানুয়ারি তাঁর প্রসবের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে ১৪ জানুয়ারি রাতে অঞ্জলি অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসক জানান, শিশু উল্টো দিকে রয়েছে। ফলে পুর হাসপাতালে সিজার করলে সেটা মারাত্মক হতে পারে। তাই তিনি একটি নির্দিষ্ট নার্সিংহোমে অঞ্জলিকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।
শুধু তাই নয়, সেখানে ৫০,০০০ টাকা খরচ হবে বলেও জানান তিনি। তবে পেশায় অটোচালক নিজের আর্থিক অবস্থার কথা জানান। তখন হাসপাতালেই তিনি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। ঘটনায় দীপক দাস মহিলার সিজার করতে অস্বীকার করেন। তখন অন্য এক চিকিৎসক সিজার করেন।
এদিকে, বিষয়টি নজরে আনেন স্থানীয় কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত। তারপরেই চিকিৎসককে শোকজ করে পুরসভা। অভিযোগ, আগেও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে চিকিৎসকের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ঘটনার স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই সত্যি বেরিয়ে আসবে। তাঁকে শোকজ করা হয়েছিল। তিনি শোকজের জবাব দিয়েছেন। পুরসভার সিআইসি(স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়। আবার অভিযোগ উঠেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।