কেন্দ্রকে টক্কর দিতে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের আগেই তার উদ্বোধন হবে বলে সরকারের অন্দরমহলের খবর। তার আগে দিঘাকে আরও ঝকঝকে করতে হকার উচ্ছেদের পথে হাঁটল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রবিবার দিঘা - শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, দিঘা সৈকত ও সৈকত লাগোয়া সরণি থেকে সরে যেতে হবে সমস্ত হকারকে। এই নির্দেশিকা না মানলে ২২ অগাস্টের পর পদক্ষেপ করবে প্রশাসন।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দিঘাকে আরও আকর্ষণীয় করতে তৎপর হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যার জেরে বাঙালির অন্যতম ট্রাভেল ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে এই সৈকত শহর। দিঘায় সৈকতের পাশে সুসজ্জিত রাস্তা বানিয়েছে রাজ্য সরকার। আর ‘নিয়ম মেনে’ রাস্তার পাশে বসে পড়েছেন হকাররা। যার জেরে বহু জায়গায় পর্যটকদের যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ জমা পড়েছে প্রশাসনের কাছে। তার জেরেই তৎপর হয়েছে দিঘা - শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
রবিবার মাইকিং করে তারা জানিয়ে দিয়েছে দিঘায় সৈকত ও সৈকত সরণি থেকে সরে যেতে হবে হকারদের। ২২ অগাস্টের মধ্যে নির্দেশ পালন না করলে পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। যদিও পুনর্বাসন ছাড়া সরতে নারাজ হকারা। তাদেরে দাবি, অনেক হকার দিঘার সৌন্দর্যায়ন হওয়ার আগে থেকে সেখানে ব্যবসা করছেন। এতদিন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। সৌন্দর্যায়নের নামে দিঘাকে হকারশূন্য করার পরিকল্পনা চলছে। তাদের সঙ্গে কথা না বলে একতরফা ভাবে হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুনর্বাসন ছাড়া দোকান গুটিয়ে নিতে রাজি নন তাঁরা।
এছাড়া দিঘায় বেওয়ারিশ গরু নিয়ন্ত্রণেও পদক্ষেপ করতে চলেছে প্রশাসন। জানানো হয়েছে, এবার দিঘা শহরের ভিতরে কোনও গরু বেওয়ারিশভাবে ঘুরে বেড়ালে সেগুলিকে আটক করবে তারা। গরুর মালিককে জরিমানা দিয়ে গরু ছাড়াতে হবে। বেওয়ারিশ গরুর জন্য দিঘা শহর অপরিচ্ছন্ন হচ্ছে বলে দাবি প্রশাসনের।