রাজ্যের সরকারি ভবনের আদলেই গড়ে উঠেছিল নীল সাদা রঙের কারখানা। আর সেই কারখানায় দিনের পর দিন তৈরি হচ্ছিল নকল টমেটো সস। রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসা। সেখানে তৈরি হওয়া সস ছড়িয়ে দেওয়া হতো গোটা রাজ্যে। অবশেষে সেই নকল সস তৈরি কারখানার পর্দাফাঁস করল জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ডিআইবি)। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর কমলাপুর গাড়াপোতা এলাকায় এই নকল সস তৈরির কারখানার হদিস পেয়েছে ডিআইবি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই কারখানায় হানা দিয়ে ডিআইবির স্পেশাল টাস্ক ফোর্স প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত রাসায়নিক বাজেয়াপ্ত করেছে। (আরও পড়ুন: ৯০ মিটার লম্বা ৬৫০ টন ভারী টানেল বোরিং মেশিন এল কলকাতায়, পাড়ি দিল ১৬৫৩ কিমি পথ)
আরও পড়ুন: হলুদ গুঁড়োয় ভেজাল নিয়ে সন্দেহ? খাঁটি কি না জানুন এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে
আরও পড়ুন: আসতে চলেছে বড় পরিবর্তন? শুধু আধার নয়, এবার রেশন কার্ডের সঙ্গে জুড়তে পারে...
জানা গিয়েছে, শুক্রবার আচমকা ওই কারখানায় হানা দেয় ডিআইবি। সেখান থেকে সস তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী সহ রানায়নিক ও জাল সস কাসুন্দি সহ বিভিন্ন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন হঠাৎই এভাবে ডিআইবির হানায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী এদিন ভ্যানে করে তুলে নিয়ে যায় ডিআইবি। জানা গিয়েছে, ওই কারখানার মালিক দেবাশিস পাল নামে একজন। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ভেজাল সস তৈরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ। যদিও কারখানার মালিককে পাওয়া যায়নি। তবে সেদিন কারখানায় ডিআইবির হানাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে তৈরি হওয়া সস ভেজাল কিনা জানিনা। তবে এই কারখানা হওয়ার বলে এলাকার বহু মানুষ সেখানে কাজ পেয়েছেন। কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে তাঁদের রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে।’ (আরও পড়ুন: বাসের মেয়াদ নিয়ে মন্ত্রী বলছেন এক কথা, হাইকোর্টে সরকারি আইনজীবীর মুখে 'অন্য কথা')
আরও পড়ুন: ৪৭ শতাংশের লাফ! কোভিডের পরে বাংলায় ক্রমেই বেড়েছে ভুয়ো ওষুধের রমরমা
আরও পড়ুন: দমদমের তিন নম্বর আপ লাইনে সিগন্যালিংয়ে ত্রুটি, পরপর দাঁড়িয়ে পড়ল লোকাল ট্রেন
অন্যদিকে, এদিন ভেজাল সস তৈরির কারখানার পর্দাফাঁস হওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এ বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের টাকা খাইয়ে কারখানার লাইসেন্স তৈরি করা হয়েছে। টমেটোর বদলে এখানে সস তৈরি করা হয় বিষাক্ত রাসায়নিক, ভিনিগার, ফুড কালার সহ অন্যান্য উপকরণ পচিয়ে, যা মারাত্মক ক্ষতিকারক। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই সস সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগে এই কারখানাটি ছোট ছিল এখন কারখানাটি বড় করা হয়েছে। তাও আবার কারখানার রং করা হয়েছে নীল সাদা। এই সস যে বাচ্চারা খাচ্ছে তা বিষের থেকেও মারাত্মক। এগুলি একপ্রকার স্লো পয়জন। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, অনেকদিন পর রাজ্য সরকারের ঘুম ভাঙল। এই সস কারখানা যাতে বন্ধ করা হয় তার জন্য বিজেপির তরফে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।