গতবছর ট্যাব কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। সেই ঘটনায় অনেককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার ট্যাব কাণ্ডে পূর্ব বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদের তিনজন শিক্ষককে শোকজ করল স্কুলশিক্ষা দফতর। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী ঢেউয়ের বিষয়ে আগে থেকে অবগত ছিল ভারত, বললেন জয়শংকর)
আরও পড়ুন: পুলিশ গ্রেফতার করল ট্যাব দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ডকে, প্রধানশিক্ষকের কাজে স্তম্ভিত
জানা গিয়েছে, এই দুটি জেলার মধ্যে পূর্ব বর্ধমানের দুজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ও মুর্শিদাবাদের একজন শিক্ষক রয়েছেন। পুলিশের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। অভিযোগ, এই তিনজন শিক্ষক রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প’-এ পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার জন্য নোডাল অফিসার ছিলেন। তা সত্ত্বেও ভুয়ো তথ্য দিয়ে অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং পরে রিপোর্ট জমা দেয়। (আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগকে ফেরাতে গোপন বৈঠক ক্যান্টনমেন্টে? বিতর্কে মুখ খুলল বাংলাদেশি সেনা)
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার স্কুলগুলিতে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে থাকে। অভিযোগ, গত বছর রাজ্যের অনেক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা প্রবেশ করেনি। তা অন্য কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর সেই টাকা প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে এটিএম থেকে সেই টাকা তুলে নেওয়াও হয় বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত, পরপর গুলি আরাকান আর্মির, গুলিবিদ্ধ ২
প্রসঙ্গত, এই অভিযোগ প্রথম শোনা গিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এরপর একে একে বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার স্কুলেও একইভাবে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা না ঢোকার অভিযোগ ওঠে। ৩০০-এর বেশি পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ। অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা যাওয়ার পাশাপাশি ওয়েবসাইট হ্যাক করেও টাকা হাতানোর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পরে তৎপর হয় শিক্ষাদফতর। কেন আবেদনকারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঠিকমতো টাকা যাচ্ছে না তা খতিয়ে দেখা শুরু করে শিক্ষা দফতর। পুলিশ এবং অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে কমপক্ষে ২১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে কৃষক। তদন্তকারীরা দাবি করেন, বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে থেকে স্কুলের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বদল করা হয়েছিল।