শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রাখাল বেরাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল গতমাসের শুরুর দিকেই। এবার সেই রাখালের বিরুদ্ধে উঠল পরিবহণ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার দামে প্রতারণার অভিযোগ। গত ৯ জুন কাঁথি থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ করেন পূর্ব মেদিনীপুরের ইঞ্চির বাসিন্দা মিজানুর আলি নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগকারীর দাবি, শুভেন্দু অধিকারী যখন রাজ্য পরিবহন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় দফতরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন রাখাল বেরা ও চঞ্চল নন্দী। মোট ৬ লাখ টাকা কাঁথি পুরসভার অফিসে চঞ্চল নন্দীর হাতে দিয়ে আসেন বলে দাবি করেন মিজানুর। ওই অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে বৃহস্পতিবার কাঁথি মহকুমা আদালত থেকে অভিযুক্ত রাখাল বেরাকে ৫ দিন হেফাজতে পায় কাঁথি থানার পুলিশ।এদিকে গত নভেম্বরে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন শুভেন্দু। যারপর মিজানুর চঞ্চল ও রাখালকে চাকরির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন করলে নাকি তাঁরা বলেন, ভোটের পর শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী হলে ভালো চাকরি দেওয়া হবে। তবে নির্বাচনে শুভেন্দুর দল হেরে গেলে টাকা ফেরত চায় মিজানুর। কিন্তু সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে পরে তা অস্বীকার করেন চঞ্চল। এরপরই কাঁথি থানায় অভিযোগ জানান মিজানুর। এদিকে এই ঘটনায় চঞ্চলকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।এর আগে সেচ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল রাখাল বেরার বিরুদ্ধে। যদিও সেই সময় শুভেন্দু রাখআলের সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠতা অস্বীকার করে বলেছিলেন, 'ওঁ (রাখাল বেরা) যে আমার ঘনিষ্ঠ সেই বিষয়ে কোনও প্রমাণ আছে? এই বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই।' এদিকে তদন্ত উঠে এসেছে যে বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে কমপক্ষে ৬০ জনের সঙ্গে প্রতারণা করেছে রাখাল। সেই সূত্রে গত ৫ জুন রাখাল বেরাকে গ্রেফতার করে মানিকতলা থানার পুলিশ।