অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। তারপর থেকে নানাভাবে সম্পত্তির হদিশ করে চলেছে সিবিআই আধিকারিকরা। এবার বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে আবার গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁর মেয়েকে জেরা করতেই সিবিআই সেখানে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাড়িতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। আবার বুধবার বোলপুরে গিয়ে আজ অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিকে জেরা করছে সিবিআই– এর অন্য একটি টিম। এখন টানা চলছে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।
ঠিক কী জানতে চায় সিবিআই? সিবিআই সূত্রে খবর, স্কুল শিক্ষিকা হয়েও কীভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি? এবার অনুব্রতর মেয়েকে সরাসরি এই প্রশ্ন করতে চায় সিবিআই। বোলপুরের নিচুপট্টিতে অনুব্রতর বাড়িতে সিবিআই পৌঁছে গিয়েছে। বোলপুরের বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে রয়েছেন মহিলা আধিকারিকও। তবে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছন তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের নাম রয়েছে দুটি সংস্থায়। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এখন অনুব্রত মণ্ডলের কী খবর? আজ আবার নিজাম প্যালেসে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা শুরু করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, গরুপাচারের টাকা শুধু অনুব্রত নয়, টাকার ভাগ পেয়েছেন বীরভূম জেলার একাধিক প্রভাবশালী। প্রত্যেকেই টাকা নিয়েছেন প্রোটেকশন মানি হিসেবে। এমন ১০–১২ জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে তাঁরা। ওই প্রভাবশালীদের বিলাসবহুল বাড়ি, একাধিক জায়গায় সম্পত্তি, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই নিয়েই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করা হয়েছে।
অনুব্রতর মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ কেন করা হবে? গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের নামে দ্বিতীয় কোম্পানির হদিশ মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। নীড় ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে এই রিয়েল এস্টেট কোম্পানি তৈরি হয়েছিল ২০০৬ সালে। এই কোম্পানির শেয়ার ক্যাপিটাল ছিল দেড় কোটি টাকা। এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের ঠিকানাতেই তৈরি হয় এই রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। ওই সংস্থার দুই ডিরেক্টর অনুব্রত মণ্ডলের সুকন্যা মণ্ডল এবং অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন। তাই তাঁর মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক মণীশের কাছে অনুব্রত–কন্যা সুকন্যার সম্পত্তির হিসাব জানতে চেয়েছে সিবিআই।