বরানগর এলাকার তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত শঙ্কর রাউত। এহেন শঙ্কর নাকি নিয়ম বহির্ভূতভাবে বেলঘড়িয়ার প্রসাদ নগরের এক আবাসনে থাকেন। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের এই যুব নেতার বিরুদ্ধে রোজই নতুন নতুন মহিলাদের আবাসনে ডেকে এনে পার্টি করার অভিযোগ উঠেছে। শঙ্করের সঙ্গে থাকেন তাঁর স্ত্রীও। এদিকে উদ্দাম পার্টিতে বিরক্ত আবাসনের বাসিন্দারা অভিযোগ জানান তৃণমূলেরই অন্য নেতার কাছে। শঙ্করের কাণ্ডে বিরক্ত স্থানীয় তৃণমূল যুব নেতৃত্বও। ফলে পার্টি করাকে ঘিরে বেঁধে গেল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
কামারহাটির মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ যুব তৃণমূল নেতা আরমান মালিক এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য সরাসরি শঙ্কররে দায়ী করেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেও রোজকার মতো পার্টিতে মেতেছিলেন শঙ্কর ও তাঁর বান্ধবীরা। আবসানের বাসিন্দারা সেই বিষয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। অভিযোগ শুনে তৃণমূল কর্মীরা গিয়ে পার্টির প্রতিবাদ জানায়।
এই আবহে প্রথমে দুই পক্ষের বচসা শুরু হয়। তা গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। একে অপরের ওপর হামলা চলতে থাকে দুই পক্ষই। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝে পুলিশে খবর দেন আবাসিকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বেলঘড়িয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। তবে পুলিশের সামনেই দুই পক্ষের বচসা জারি থাকে।
আরমান মালিকের অভিযোগ, শঙ্করের ড্রাইভার প্রাথমিক ভাবে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। পরে শঙ্করও ফোনে বাজে ব্যবহার করেন আরমানের সঙ্গে। এদিকে পার্টিতে আগত মহিলাদের দাবি, তাঁরা বিজয়া উপলক্ষে একত্রিত হয়েছিলেন। অনুষ্ঠানটি পারিবারিক ছিল। সেই সময় তৃণমূল নেতা আরমান মালিকের নেতৃত্বে সশস্ত্র তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালায় তাঁদের উপর।