বাঁকুড়ার খাতড়ায় পোড়া পাহাড়ে প্রাগৈতিহাসিক গুহা ঘিরে নতুন করে পর্যটনের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে। কিন্তু তারই মধ্যে গুহা নিয়ে উঠে আসছে ভিন্ন মত। এলাকার প্রবীণদের মতে, ওই গুহার সঙ্গে আদিম সভ্যতার কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ ওই গুহা খনন করা হয়েছে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে। সেকথা জানাচ্ছেন খননের কাজে যুক্ত থাকা প্রবীণরাই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পোড়া পাহাড়ে যে একটি গুহা রয়েছে তা গ্রামবাসীরা অনেকেই জানতেন। ৬২ – ৬৫ বছর আগে ওই গুহা খনন করা হয়েছিল ধাতুর খনিজ সংগ্রহের জন্য। তখন খনন কার্যে নিযুক্ত হয়েছিলেন অনেকে। তাদের মধ্যে এখনও অনেকে জীবিত। স্থানীয় বাসিন্দা সুবল মাহাতো, নিমাই বাউড়ি, বিশ্বনাথ রজকের দাবি তাঁরা খননকার্যে যোগদান করেছিলেন। ধাতু উত্তোলনের জন্য কোদাল গাঁইতি দিয়ে খোড়া হয়েছিল ওই গুহা। কিছুদিন কাজ চলার পর জানা যায়, খনিজে ধাতুর পরিমাণ সন্তোষজনক নয়। তখন খননকার্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই থেকে ওভাবেই পড়ে রয়েছে গুহাটি। তাঁদের দাবি, কিছু মানুষ না জেনে বা অসৎ উদ্দেশে ভুল প্রচার করছে।
তাঁদের দাবি, পোড়া পাহাড়ে পর্যটন কেন্দ্র হোক সেটা তাঁরাও চান। কিন্তু বিভ্রান্তিকর প্রচার যেন বন্ধ হয়।