ওপারে প্রবল হিংসা। তাই এপারে এলে যদি প্রাণে বাঁচা যায় সেই চেষ্টা করেছিলেন এক আওয়ামী লিগের ছাত্রনেতা। কিন্তু এটাই কি একমাত্র বাঁচার পথ? বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এপার বাংলায় ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ভারতে আশ্রয় নিতে এসে রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুরে বিএসএফের হাতে ধরা পড়লেন ওই ছাত্রনেতা। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুর্শিদাবাদের ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া একটি গ্রাম থেকে। ধৃতকে আজ, রবিবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আবদুল কাদির (২৭)। বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে। এই ছাত্রনেতা বাংলাদেশের আওয়ামী লিগ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল শনিবার অভিযান চালিয়ে আবদুল কাদেরকে পাকড়াও করে বিএসএফ। তার পর রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন হিংস্র ও রক্তাক্ত হয়ে ওঠে। তাই প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই সীমান্তে জড়ো হয়েছেন। কিন্তু ওপার থেকে এভাবে এপারে আসার নিয়ম নেই। এটা বেআইনি অনুপ্রবেশ। তাই এই বেআইনি অনুপ্রবেশ করলে তাঁকে গ্রেফতার করা নিয়ম।
এদিকে আওয়ামী লিগের নেতা–কর্মীদের বাড়িতে হামলা নেমে এসেছে বলে অভিযোগ। তাই আওয়ামী লিগের ছাত্রনেতা আবদুল কাদির নিজের প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে চলে আসেন। এই বেআইনি অনুপ্রবেশ করে এখানে থাকতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু শনিবার রাতে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। রাতেই বিএসএফ আটক বাংলাদেশের ছাত্রলিগের নেতা আবদুল কাদিরকে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার বয়রাঘাট সীমান্তে আউটপোস্টের কাছে একটি গ্রামে গত চারদিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন ছাত্রনেতা আবদুল কাদির।