মৃত যুবকের আত্মীয় ধনঞ্জয় চক্রবর্তী দাবি করেন, অশোককে হত্যা করে ফেলা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছে তিনি খবর পান, তাঁদের গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে জঙ্গলের মধ্যে একটি দেহ পড়ে রয়েছে। তিনিও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে তিনি লক্ষ্য করেন দেহটি তাঁদের পরিবারের সদস্য অশোকের।
রহস্যমৃত্যুর খবর পেয়ে কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ এসে পৌঁছায় অকুস্থলে।
জামুড়িয়ায় আবার বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে উদ্ধার হয়েছে বিজেপি কর্মী অশোক চক্রবর্তীর দেহ। জঙ্গলের ঝোপের মধ্যে থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিভ্রান্ত করছে মানুষকে। এই ঘটনার তদন্ত হোক বলে পাল্টা দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করা অশোক চক্রবর্তী নামের এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জামুড়িয়ার বিজয়নগর এলাকায়। এই ঘটনাটি খুনের ঘটনা বলেই দাবি মৃতের পরিজনের। রবিবার এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
ঠিক কী ঘটেছে জামুরিয়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত বিজয়নগর মোড়ের কাছে অবস্থিত পুনর্বাসন কেন্দ্রের অদূরে মৃত অশোক চক্রবর্তীর দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই যুবক হিজলগড়া গ্রামের সুত্রধর পাড়ার বাসিন্দা ছিল। ওই জঙ্গলের একটু দূরেই রয়েছে সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্র। আজ, রবিবার সেখানে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন অশোকের বাড়িতে। আর তার পর খবর দেওয়া হয় থানায়। এই রহস্যমৃত্যুর খবর পেয়ে কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ এসে পৌঁছায় অকুস্থলে। তারা মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত যুবকের নাম অশোক চক্রবর্তী (২৭)। জামুড়িয়ার বিজয়নগর এলাকার একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হল অশোক চক্রবর্তী, বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। কেমন করে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খুনের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই সব পরিষ্কার হবে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।