কসবা ল’ কলেজে আইনের ছাত্রীকে TMCP ইউনিটের সভানেত্রী করে দেওয়ার নামে কলেজে ডেকে গণধর্ষের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল বিজেপি। শুক্রবার রথযাত্রার অনুষ্ঠানের মধ্যেই এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে না পারার দায় কাঁধে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শুভেন্দুবাবু।এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘বেপরোয়া হয়েছে এটা। এই ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী। মনোজ ভার্মা, বিনীত গোয়েল, রাজীব কুমার… দেখুন সব কী করছে ওখানে (দিঘায়)। কলকাতা পুলিশকে তো পুরো নিয়ে চলে গেছে দিঘাতে। লোক তো নেই দিঘায়। জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই।’সুকান্তবাবু বলেন, ‘যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণকে ‘ছোট ঘটনা’, ‘ওদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল’, ‘কোনও মহিলা যৌনকর্মী ও তাঁর খদ্দেরদের মধ্যে গণ্ডগোল’ এই মতামত নিয়ে যে শাসক রাজ্য চালায় তার রাজ্যে এভাবে গণধর্ষণের ঘটনাই ঘটবে। শিক্ষাকেন্দ্রগুলোকে এভাবে নষ্ট করছে। শিক্ষাকেন্দ্রে মেয়েদের সুরক্ষা নেই। আরজি কর কাণ্ডের পর তো প্রমাণ হয়ে গেছে যে রাজ্যের শীর্ষ মেডিক্যাল কলেজগুলোর মধ্যে একটিতে যদি এই ঘটনা ঘটতে পারে… ল কলেজ, যেখানে আইনের শিক্ষার্থী তৈরি হয় সেখানেই আইন ভাঙা হচ্ছে। রাজ্যের অবস্থাটা কী? মুখ্যমন্ত্রীই এরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পর তার এই অপদার্থতা, তিনি যতই জগন্নাথ দেবের রথ টানুন না কেন, কালীগঞ্জে মেয়েকে মারা হচ্ছে বোমা দিয়ে। কোথাও মেয়েদের ইজ্জত লুঠ করা হচ্ছে। আরজি করে অভয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হচ্ছে। এই পাপের হাত থেকে উনি বাঁচবেন না।’