পাঁশকুড়ার সমবায় সমিতির নির্বাচনেও তৃণমূল জয়লাভ করেছিল। কোলাঘাটেও একই অবস্থা হযেছিল। তমলুকের ক্ষেত্রেও তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার। মহিষাদলের গেঁওখালি কৃষি সমবায় সমিতিতেও পরাজয় দেখতে হয়েছিল সিপিএম–বিজেপিকে। এবার আবারও সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কারে উৎসাহিত হলেন তৃণমূল কর্মী–সমর্থকরা।
জয়লাভ করে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস
হাত ধরে এবং না ধরে কোনওভাবেই জিততে পারছে না সিপিএম–বিজেপি। একাধিক সমবায় সমিতির নির্বাচনে হারের ধারা অব্যাহত। নন্দকুমার মডেল একদিকে ফেল করছে। আবার পৃথক লড়াই করে সিপিএম যদিও দু’একটা সমবায় ধরে রাখতে পারছে, বিজেপি জোট করে এবং না করে কোনওভাবেই সমবায় নির্বাচনে দাগ কাটতে পারছে না। ফলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে বড় ধস নামবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এবার পরাজয় ধনঞ্জয়পুর গোবিন্দনগর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে।
এবার বিরোধী দলনেতার জেলাতেই ফের পরাজয়ের মুখ দেখতে হল। একটি আসনও জিততে পারল না সিপিএম–বিজেপি। বরং তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিটি আসন জিতে বিরোধীদের ওয়াশ–আউট করে দেয়। ধনঞ্জয়পুর গোবিন্দনগর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে আসন সংখ্যা ছিল ১২টি। এখানে একটি আসনও বিরোধীরা জিততে পারেনি। পূর্ব মেদিনীপুরের এই সমবায় সমিতিতে কার্যত গোহারা হল বিরোধীরা। সবুজ আবিরে রবিবাসরীয় দুপুরে ঢেকে গেল গোবিন্দপুর এলাকা।
অন্যদিকে পাঁশকুড়ার সমবায় সমিতির নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছিল। কোলাঘাটেও একই অবস্থা হয়েছিল। তমলুকের ক্ষেত্রেও দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার। মহিষাদলের গেঁওখালি কৃষি সমবায় সমিতিতেও পরাজয় দেখতে হয়েছিল সিপিএম–বিজেপিকে। পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক সমবায় সমিতি নির্বাচনে সিপিএম– বিজেপির পরাজয় কার্যত মানুষের রাজনৈতিক প্রত্যাখ্যান বলেই মনে করা হচ্ছে। এবার আবারও সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কারে উৎসাহিত হলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থকরা।