মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষা মৌসুমী নন্দী জানান, জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ওই ছাত্রী ভরতি হয়েছিলেন। সেই কারণে তার ভরতি বাতিল করা হয়েছে। তবে ওই ছাত্রীকে যে শুধু বহিষ্কারই করা হয়েছে তাই নয়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আদিবাসীদের সংগঠন।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ
রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভর্তির নামে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে কলকাতা হাইকোর্টে করা একটি মামলায়। জাল জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে অনেকে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভর্তি হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই আবহে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ওই ছাত্রী।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষা মৌসুমী নন্দী জানান, জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ওই ছাত্রী ভর্তি হয়েছিলেন। সেই কারণে তার ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। তবে ওই ছাত্রীকে যে শুধু বহিষ্কারই করা হয়েছে তাই নয়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আদিবাসীদের সংগঠন। তাদের দাবি, ওই ছাত্রীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তাছাড়া যারা জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ভর্তি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর সঙ্গে জড়িত অধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আদিবাসীরা। শুধু তাই নয়, যারা জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ভরতি হয়েছে তাদের সকলের ভর্তি বাতিল করতে হবে।
জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর কলেজের বহিষ্কৃত ছাত্রীর বাড়ি তমলুকে। ওই ছাত্রী ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে অ্যাডমিশন নিয়েছিলেন। তাকে কলেজ থেকে এক লক্ষ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকেই ছাত্রী আর কলেজে আসেনি বলে জানা যায়। যদিও জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্র প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি তার বাবা। তার বক্তব্য, তিনি এখনই কিছু বলতে পারবেন না। বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে।