নিজেকে সেনা অফিসার পরিচয় দিতেন। সেই পরিচয় দিয়ে বিয়েও করে ফেলেছিলেন মির্জাবাটির বাসিন্দা শুভাশিস দাস। তবে বিয়ের পরেই ধরা পড়ে গেলেন স্ত্রী'র হাতে। শুভাশিস আদৌও সেনা অফিসারই নন। শেষপর্যন্ত শুভাশিসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।সেনা অফিসার পরিচয় দিয়ে মির্জাবাটি গ্রামের বাসিন্দা শুভাশিস টাকশালি গ্রামের বাসিন্দা উর্মি বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে শুভাশিসের বিভিন্ন কার্যকলাপ দেখে উর্মির সন্দেহ হয়। এই প্রসঙ্গে উর্মি জানান, ‘সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমেই শুভাশিসের সঙ্গে আমার আলাপ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ও নিজেকে সেনা অফিসার বলে পরিচয় দেয়। জানায়, ও সেনাবাহিনীতে অনেক উঁচু পদে রয়েছে। এরপর আমার পরিবারের সঙ্গেও আলাপ করতে আসে ও। প্রথমদিকে আমার পরিবারের সদস্যরা ওর সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। এরপর আমরা নিজেরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করি।’ কিন্তু কীভাবে সন্দেহ দানা বাঁধল উর্মির? তিনি জানান, ‘বিয়ের পর আমায় বাপের বাড়িতে রেখে কখনও বেঙ্গালুরু, আবার কখনও অন্য কোথাও চলে যেত শুভাশিস। তবে কোথায় যেত জানতাম না। তবে জানতে পেরেছিলাম, বেতন না পাওয়ার কথা বলে আমার দিদি, বাবা, মায়ের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল।’এরপরে সন্দেহ ক্রমশ দানা বাঁধতে শুরু করে। খোঁজখবর নিয়ে উর্মি জানতে পারে, শুভাশিসের গ্রামে বউ, বাচ্চা সবই আছে। এর আগে শুভাশিস বিভিন্ন সময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ঠকিয়েছে। উর্মি জানান, ‘শুভাশিসের নামে একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পর বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করি।’ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শুভাশিসকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুভাশিসের বাড়ি থেকে বহু ভুয়ো নথিপত্র, ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শুভাশিস কীভাবে এই সব জাল নথিপত্র তৈরি করলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।