কৃষি আইনের সমর্থনে, সাধারণ মানুষকে সংশোধিত এই আইনের উপকারিতা বোঝাতে পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। এই উপলক্ষে শনিবার হলদিয়া আসনে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন কিসান মোর্চার নেতৃত্বে বাবুরহাট থেকে দাড়িবেড়িয়া পর্যন্ত মিছিলে প্রথম সারিতে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। মিছিল শেষে এক জনসভায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তুলোধনা করেন তিনি।দিলীপ ঘোষ এদিন সভামঞ্চ থেকে প্রশ্ন করেন, ‘কৃষকের বিক্রি করা ৫ টাকার আলু বাজারে ৪০ টাকায় বিকোচ্ছ। আর বাদবাকি ৩৫ টাকা কোথায় যাচ্ছে?’ উত্তরে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিটা আলুতে ৩৫ টাকা কাটমানি যাচ্ছে কালীঘাটে। তেমনই কেন্দ্রীয় সরকার ধান বিক্রিতে ১৮৬৮ টাকা সহায়ক মূল্য দিচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কৃষকরা ১৩০০–১৪০০ টাকায় ধান বিক্রি করছেন। আর বাকি ৪০০–৪৫০ টাকা যাচ্ছে কালীঘাটে, ভাই–ভাইপোদের পকেটে।’কৃষি আইনের সমর্থনে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি গোপীবল্লভপুরের গরিব চাষীর বাড়ির ছেলে। আমি জানি চাষী কত কষ্ট করে চাষ করে। আর তৃণমূল–সিপিএম–কংগ্রেস চাষীর টাকা লুঠ করছে। আমরা কৃষকদের পাশে রয়েছি।’ রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে দিলীপের অভিযোগ, ‘সবজি কলকাতায় নিয়ে গেলে রাস্তায় পুলিশ আটকে পয়সা তোলে। বিজেপি ক্ষমতা এলে এই সব বন্ধ করা হবে।’এদিন বক্তৃতার মাঝে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় হঠাৎ সভামঞ্চের মাইক বন্ধ হয়ে যায়। মাইক চালু হলে দিলীপ ঘোষ মস্করা করে বলেন, ‘এই মাইক তৃণমূলের নাকি? বাইরে ঘাসফুল ভেতরে পদ্মফুল!’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিলীপ ঘোষের তোপ, ‘দেশের জন্য যা ভাল কাজ হবে সবার প্রথমে তাতে বাধা দেবেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকদের সুরক্ষার জন্য কৃষি আইন পাশ করা হয়েছে। আর তার বিরোধীতা করছেন মমতা। তিনি মোটেই কৃষকদের ভাল চান না।’ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অবস্থানের কথা তুলে দিলীপ এদিন বলেন, ‘মমতা বলেছিলেন ২০১৯, বিজেপি ফিনিস। আমি তাঁকে বলেছি, ২০১৯, দেখবেন বিজেপি কী জিনিস। এখন পশ্চিমবঙ্গে গদি সামলাতে বিহার থেকে মাসতুতো ভাই প্রশান্ত কিশোরকে ভাড়া করে এনেছেন তিনি।’