বিজেপি পরিচালিত নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ। কাজ না করে ঠিকাদারকে টাকা পাইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতি হচ্ছে বলে তৃণমূলের দাবি। এর মধ্যে জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য টাকা নেওয়া, ব্যক্তিগত পাম্প বসানোর জন্য টাকা তোলার অভিযোগ এনেছেন শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপিতে ব্যাপক ভাঙন, শতাধিক গেরুয়া নেতা–কর্মী তৃণমূলে
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রাম। ফলে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এমন ইস্যু পেয়ে জোরকদমে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন শাসক দলের পঞ্চায়েতে সদস্যরা। বিডিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
মূলত পঞ্চায়েত প্রধানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মোট পাঁচটি বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে বিডিওর কাছে। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত এলাকায় ড্রেনের কাজের জন্য ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। নন্দীগ্রাম ৭ নম্বর সংসদে কোনও কাজ হয়নি। তা সত্ত্বেও ওই ঠিকাদারকে লক্ষাধিক টাকা পেমেন্ট করা হয়েছে কয়েকদিন আগেই। এছাড়াও, ব্যক্তিগত সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর জন্য পঞ্চায়েতের তরফে পাঁচ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, এরকম ৫০ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে পঞ্চায়েত। আরও অভিযোগ সেই টাকা পঞ্চায়েতের তহবিলে জমা পড়েনি। ফলে এক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলেও দাবি তৃণমূলের। জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্যও পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে, পূর্ত দফতরের জায়গায় টাকার বিনিময়ে দোকান এবং স্টল বসানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই পঞ্চায়েত পরিদর্শনের কথা জানান বিডিও। এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত দুর্নীতিগ্রস্ত।
এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও কাজ না হওয়া সত্ত্বেও ঠিকাদারকে পেমেন্ট করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির নন্দীগ্রামের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুদীপ পাত্র। তবে সেটা ভুলবশত হয়েছে বলেই তিনি দাবি করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, তৃণমূল এই বিষয়টিকে পাল্টা ইস্যু করতে চাইছে। পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মীকান্ত জানার কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।