হিন্দু ধর্মের নানা উৎসব অনুষ্ঠানের আচারে হলুদ শুভ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে হলুদ যে শুধু শুভ তাই নয়। এটি অন্যদিকে বিঘ্নহন্তাও। বিয়ের পর অনেকেরই বিবাহিত জীবন তত সুখের হয় না। সংসারের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকে স্বামী-স্ত্রীর। এছাড়াও, শ্বশুরবাড়ির থেকে যথাযথ সম্মান না পেলে সেই বিবাহিত জীবন আরও অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে জ্যোতিষ মেনে কিছু প্রতিকার করলে যাবতীয় সমস্যাকে নির্মূল করা সম্ভব। এক টুকরো হলুদ দিয়েই এই প্রতিকার করা সম্ভব।
হলুদের কোন প্রতিকার করবেন?
- স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে আপনার প্রতি অনীহা জন্ম নিচ্ছে? তাঁর পূর্ণ ভালোবাসা পাওয়ার জন্য হলুদের ছোট ছোট টুকরো দিয়ে একটি মালা গেঁথে নিতে হবে। এই মালার সাহায্যে ‘ওম রত্যৈ কামদেবায় নমঃ’ মন্ত্রটি একশো আটবার জপ করতে হবে রোজ।
আরও পড়ুন - বাদামি চোখের মানুষরা বন্ধু হিসেবে কেমন? আড়াল থেকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে?
- সঙ্গীর মন জয় করতে হলে মন ও শরীর শুচি করতে হবে। এর জন্য প্রতি সন্ধেয় হলুদ ও বেসনের খাবার খেতে হবে। এটি দেহমন পবিত্র করে।
- শ্বশুরবাড়িতে যথাযোগ্য সম্মান পেতে হলে সিদ্ধিদাতা গণেশের কাছে হলুদ অর্পণ করা উচিত। বিঘ্নহন্তার কাছে নিয়মিত হলুদ অর্পণ করলে সংসার থেকে অশান্তি ও নেতিবাচক শক্তি সহজে দূর হয়। নিষ্কলুষ হয় শ্বশুর শ্বাশুড়ির মন।
- বিবাহিত জীবনের সুখ ধরে রাখার জন্য যেকোনও পাঁচটি হলুদ রঙের দ্রব্য একটি হলুদ কাপড়ে বেঁধে ইষ্টদেবতার কাছে রেখে নিজের মনের ইচ্ছে জানাতে হবে। এর পর এই কাপড়ের পুঁটলি প্রবহমান জল অর্থাৎ নদীর জলে ভাসিয়ে দিতে হবে কাকভোরে।
আরও পড়ুন - চিনা মতে সাপের বছরে দূর করুন সব অশুভ শক্তি, ৫ ফেং শুই টিপসেই শত্রু হবে জব্দ
- বিয়ের বাধা দূর করারও বেশ কিছু প্রতিকার রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল কপালে হলুদ তিলক অঙ্কন। নিয়মিত কপালে হলুদের তিলক অঙ্কন করলে বিয়ের সমস্ত বাধা দূর হয়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।