নবরাত্রি হল নয়টি রাত ধরে দেবী দুর্গার নয়টি রূপের আরাধনার উৎসব। এই নয়টি রূপকে একত্রে নবদুর্গা বলা হয়। প্রতিটি দিন মায়ের একটি নির্দিষ্ট রূপের পূজা করা হয়, যা ভক্তদের জীবনে বিভিন্ন ধরনের শক্তি, জ্ঞান এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।নবরাত্রির নয় রূপ১. শৈলপুত্রী: নবরাত্রির প্রথম দিনে দেবী শৈলপুত্রী পূজিত হন। তিনি হিমালয়ের কন্যা এবং প্রকৃতির প্রতীক। তার পূজা সাহস ও শক্তির প্রতীক।২. ব্রহ্মচারিণী: দ্বিতীয় দিনে দেবী ব্রহ্মচারিণীর আরাধনা করা হয়। তিনি জ্ঞান, তপস্যা এবং ত্যাগকে বোঝান। তার পূজা জীবনের সমস্ত বাধা অতিক্রম করার শক্তি যোগায়।আরও পড়ুন - ৩. চন্দ্রঘন্টা: তৃতীয় দিনে দেবী চন্দ্রঘন্টার পূজা করা হয়। তিনি শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নির্ভীকতার প্রতীক। বিশ্বাস করা হয় যে তার পূজা জীবনের সমস্ত ভয় দূর করে।৪. কুষ্মাণ্ডা: চতুর্থ দিনে দেবী কুষ্মাণ্ডার পূজা করা হয়। তিনি মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা এবং রোগ-শোক দূর করেন। তার পূজা স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।৫. স্কন্দমাতা: পঞ্চম দিনে দেবী স্কন্দমাতার পূজা করা হয়। তিনি মাতৃত্ব এবং ভালোবাসার প্রতীক। তার পূজা সন্তানের মঙ্গল এবং পারিবারিক সুখ নিশ্চিত করে।৬. কাত্যায়নী: ষষ্ঠ দিনে দেবী কাত্যায়নীর পূজা করা হয়। তিনি সাহস এবং ন্যায়ের প্রতীক। তার পূজা সমস্ত অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করে।৭. কালরাত্রি: সপ্তম দিনে দেবী কালরাত্রির পূজা করা হয়। তিনি সমস্ত অশুভ শক্তি ও অন্ধকার দূর করেন। তার পূজা ভয় দূর করে এবং সাহস জোগায়।আরও পড়ুন - ৮. মহাগৌরী: অষ্টম দিনে দেবী মহাগৌরীর আরাধনা করা হয়। তিনি পবিত্রতা, সৌন্দর্য এবং শান্তির প্রতীক। তার পূজা জীবনের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি দেয়।৯. সিদ্ধিদাত্রী: নবরাত্রির নবম দিনে দেবী সিদ্ধিদাত্রীর পূজা করা হয়। তিনি সিদ্ধি ও মোক্ষ প্রদানকারী। বিশ্বাস করা হয় যে তার পূজা করলে ভক্তরা সমস্ত ধরনের সিদ্ধি লাভ করে।