শনিদেবকে কর্মফলদাতা বলা হয়। অর্থাৎ, তিনি মানুষের কর্ম অনুযায়ী ফল দেন। যদি আপনার উপর শনির অশুভ প্রভাব বা শনির দশা থাকে, তবে এর থেকে মুক্তি পেতে শনিবার কিছু বিশেষ কাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
শনির কোপ থেকে মুক্তি দেবে এই আচার
শনিদেবের পুজো: শনিবার শনিদেবের পুজো করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শনি মন্দিরে গিয়ে শনিদেবের মূর্তিতে সরিষার তেল অর্পণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন - গণেশ চতুর্থীতে বাম্পার ধামাকা! পকেট ভারী হবে ৫ রাশির, পূরণ হবে অনেকদিনের স্বপ্ন
সরষের তেলের প্রদীপ: সন্ধ্যায় অশ্বত্থ গাছের নিচে বা শনি মন্দিরে একটি সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। প্রদীপ জ্বালানোর সময় "ওম শং শনৈশ্চরায় নমঃ" এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন।
দান: শনিদেবের অশুভ প্রভাব কমাতে দান করা অত্যন্ত ফলপ্রসূ। শনিবারে কালো তিল, কালো কাপড়, লোহা, কালো ছাতা, বা সরিষার তেল কোনো গরিব বা অভাবী মানুষকে দান করতে পারেন। কালো কুকুরকে রুটি বা অন্য খাবার খাওয়ানোও শুভ বলে মনে করা হয়।
মন্ত্র জপ: শনি মন্ত্র জপ করলে শনিদেব প্রসন্ন হন। শনির বীজমন্ত্র "ওম প্রাং প্রীং প্রৌং সঃ শনৈশ্চরায় নমঃ" নিয়মিত জপ করতে পারেন। এছাড়া, হনুমান চালিসা পাঠ করাও শনির দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি অত্যন্ত কার্যকর উপায়।
আরও পড়ুন - জমিবাড়ি কেনার মহাসুযোগ! পরের মাসেই ৩ রাশির জীবনে টাকার বৃষ্টি, সহায় হবে লটারি
অশ্বত্থ গাছের পুজো: শনিবার অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় জল ঢালুন এবং সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালান। এই গাছটি শনিদেবের খুব প্রিয় বলে মনে করা হয়।
সৎকর্ম: শনিদেব ন্যায়ের দেবতা, তাই সৎ কাজ করলে এবং মিথ্যা কথা বা খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকলে তিনি খুশি হন। বিশেষ করে শনিবার কোনো খারাপ কাজ করা থেকে দূরে থাকুন।
গরিব ও শ্রমিকদের সাহায্য: গরিব, অসহায় বা শ্রমিক শ্রেণির মানুষকে সাহায্য করলে শনিদেব অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।