অনেকে মুখে মধুর বুলি আওড়ালেও মনে মনে হিংসা পুষে রাখেন। এরা অন্যের উন্নতি দেখলে ঈর্ষায় জ্বলেন। সমুদ্রশাস্ত্র মতে এমনধরনের মানুষকে তাদের স্বভাব ও দেহের গড়ন দিয়ে চেনা সম্ভব। কিছু নির্দিষ্ট জিনিস দেখেই তাঁদের চেনা সহজ।
চেনার উপায় কী এমন মানুষকে?
মিথ্যা প্রশংসা: সমুদ্রশাস্ত্র মতে, এরা আপনাকে এমনভাবে প্রশংসা করবে যা অতিমাত্রায় মনে হবে। এই ধরনের প্রশংসা আন্তরিক নয়, বরং আপনাকে তুষ্ট করার একটি কৌশল মাত্র।
পিছন থেকে সমালোচনা: আপনার সামনে খুব ভালো ব্যবহার করলেও আপনার অনুপস্থিতিতে এরা আপনার এবং আপনার সাফল্যের সমালোচনা করবে। এরা অন্যের কাছে আপনার ভুলত্রুটি বা দুর্বলতা তুলে ধরার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন - ভাগ্যরেখার মাঝে ছেদ? কীসের ইঙ্গিত এমন ভাঙা রেখা? কী বলছে হস্তরেখাশাস্ত্র
নকল করার প্রবণতা: এরা আপনার সাফল্য দেখে হিংসা করে এবং আপনার কাজ বা সাফল্যের পথ নকল করার চেষ্টা করে।
ক্ষতি বা ব্যর্থতার আশা: সমুদ্রশাস্ত্র জানাচ্ছে, এরা আপনার সামান্য ক্ষতিতেও মনে মনে খুশি হয় এবং আপনার কোনো ব্যর্থতায় এরা সান্ত্বনার নামে আনন্দ প্রকাশ করে।
সাহায্য না করার প্রবণতা: এরা বিপদের সময় আপনাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না, বরং দূরে থাকার চেষ্টা করে।
কী বলছে সমুদ্র শাস্ত্র?
সমুদ্র শাস্ত্রে মানুষের শারীরিক গঠন, চিহ্ন এবং আচরণের ওপর ভিত্তি করে তার চরিত্র বিশ্লেষণ করা হয়। যদিও এই শাস্ত্র সরাসরি হিংসা বা ঈর্ষার কথা বলে না, তবে কিছু বৈশিষ্ট্য এমন মানসিকতার ইঙ্গিত দিতে পারে।
মুখের গঠন: শাস্ত্রজ্ঞদের মতে, যাদের মুখ খুব বেশি লম্বাটে এবং ঠোঁট পাতলা, তাদের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতা এবং ঈর্ষা থাকতে পারে।
দৃষ্টি: যারা কথা বলার সময় সরাসরি চোখে চোখ রাখেন না, বরং বারবার চোখ ঘুরিয়ে নেন, তাদের মনে গোপন বিষয় থাকতে পারে। এটি ঈর্ষা বা নিরাপত্তাহীনতার লক্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন - পঞ্চমীতেই ঘর বদল সূর্যের, ৩ রাশির কপালে সৌভাগ্যের বোনাস! আইনি জট থেকেও মুক্তি