হিন্দু ধর্মে অমাবস্যার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। প্রতি মাসে একবার অমাবস্যা তিথি পড়ে। এই সময়ে ভাদ্রপদ মাস চলছে। অমাবস্যা তিথিতে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয়। ভাদ্রপদ মাসে অমাবস্যা পড়ার গুরুত্ব বহুগুণ বেশি বলে মনে করা হয়। ভাদ্রপদ মাসের অমাবস্যাকে পিথোরি অমাবস্যা বলা হয়। পিথোরি অমাবস্যাকে কুশোৎপতিনি অমাবস্যাও বলা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, কুশোৎপতিনি মানে কুশের সংগ্রহ। ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত কুশ এই অমাবস্যায় সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত, অমাবস্যায়ে উৎপাটিত কুশ এক মাস ধরে ব্যবহার করা যেতে পারে। অমাবস্যায় কিছু প্রতিকার করলে পিত্র এবং কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই পিতৃ ও কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পেতে অমাবস্যায় কী করা উচিত
পিতৃদোষ কখন হয়
পিতৃদোষের কারণে একজন ব্যক্তির জীবন ঝামেলায় ভরা থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যখন রাশিফলের দ্বিতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম, নবম এবং দশম ঘরে সূর্য রাহু বা সূর্য শনির সংযোগ থাকে, তখন পিতৃদোষ হয়। এর সাথে, লগ্নেশ ষষ্ঠ, অষ্টম, দ্বাদশ ঘরে এবং রাহু লঘিনীতে থাকলে পিতৃদোষের প্রভাবও হয়। সূর্য তুলা রাশিতে থাকলে বা রাহু বা শনির সাথে সংযোগ থাকলে পিতৃদোষের প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
পিতৃদোষ প্রতিকার
পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পেতে অমাবস্যায় পূর্বপুরুষদের সাথে সম্পর্কিত কাজ করা উচিত। পিতৃপুরুষদের স্মরণ করে এবং আপনার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে পিন্ড দান করা উচিত।
কালসর্প দোষ কখন হয়
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যখন রাশিফলের সমস্ত গ্রহ রাহু এবং কেতুর মধ্যে আসে, তখন কালসর্প দোষ তৈরি হয়। কালসর্প দোষের কারণে, একজন ব্যক্তিকে জীবনে অনেক ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
কালসর্প দোষ প্রতিকার
কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পেতে, অমাবস্যার পবিত্র দিনে যথাযথ রীতিনীতি মেনে ভগবান শিবের পূজা করা উচিত। এই দিনে দুধ, গঙ্গা জল ইত্যাদি দিয়ে ভোলেনাথকে অভিষেক করুন। এছাড়াও ভোলেনাথকে খাবার পরিবেশন করুন এবং তাঁর আরতি করুন। ভগবান শিবের পূজা করে কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
দাবিত্যাগ: আমরা দাবি করি না যে এই নিবন্ধে প্রদত্ত তথ্য সম্পূর্ণ সত্য এবং নির্ভুল। বিস্তারিত এবং আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।