প্রতি বছর ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মাষ্টমী পালিত হয়। এদিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন কৃষ্ণ। রাত ১২টায় নাড়ু গোপালের পুজো করে ব্রতভঙ্গ করা হয়। বাসুদেব ও দেবকীর অষ্টম সন্তান এবং বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণ কংসের কারাগৃহে জন্মগ্রহণ করেন।জন্মাষ্টমীর তারিখচলতি বথর ৩০ অগস্ট জন্মাষ্টমী। ২৯ অগস্ট রাত ১১টা ২৫ মিনিটে অষ্টমী তিথি শুরু হবে এবং শেষ হবে ৩১ অগস্ট রাত ১টা ৫৯ মিনিটে। ৩০ অগস্ট সকাল ৬টা ৩৯ মিনিটে রোহিণী নক্ষত্র শুরু হবে। ৩১ অগস্ট সকাল ৯টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত থাকবে রোহিণী নক্ষত্র। ৩০ অগস্ট রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে ১২টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত জন্মাষ্টমীর পুজো করা যাবে।কৃষ্ণের জন্ম যেহেতু অষ্টমী তিথি এবং রোহিণী নক্ষত্রে হয়েছিল, তাই ২৯ অগস্ট রাতে অষ্টমী তিথি শুরু হওয়া সত্ত্বেও রোহিণী নক্ষত্রের অবর্তমানে সেদিন পুজো করা যাবে না। ৩০ অগস্ট সকাল ৬টা ৩৯ মিনিট থেকে ৩১ অগস্ট সকাল ৯টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত রোহিণী নক্ষত্র থাকায় ৩০ অগস্ট রাতে জন্মাষ্টমীর পুজো হবে। উল্লেখ্য সে সময় অষ্টমী তিথিও থাকছে। তাই ২৯ তারিখ অষ্টমী লাগলেও জন্মাষ্টমী পালিত হবে ৩০ অগস্ট।জন্মাষ্টমীর দিনে করুন এই কাজ১. ঈশ্বরের চোখে সকলেই সমান। তাই কারও অনাদর করা উচিত নয়। জন্মাষ্টমীর দিনে কারও সঙ্গে ভেদাভেদ করবেন না, এর ফলে পুণ্য ফল লাভ করা যায়।২. শাস্ত্র মতে একাদশী ও জন্মাষ্টমীর দিনে চাল ও জবের তৈরি খাবার খেতে নেই। চালকে শিবের রূপ মনে করা হয়।৩. পৌরাণিক মান্যতা অনুযায়ী, কৃষ্ণের জন্ম অর্থাৎ রাত্রি ১২টা পর্যন্ত জন্মাষ্টমীর উপবাস করতে হয়। পুজোর আগে অন্ন গ্রহণ করা উচিত নয়। মাঝখানে উপবাস ভঙ্গ করলে ব্রতর ফল পাওয়া যায় না।৪. জন্মাষ্টমীর দিনে স্ত্রী ও পুরুষকে ব্রহ্মচর্য পালন করা উচিত। ৫. গোরু কৃষ্ণের অতি প্রিয়। এদিন গোরুর পুজো ও সেবা করলে পুণ্য ফল লাভ করা যায়। কোনও পশুকে উত্ত্যক্ত করতে নেই।৬. যে পরিবারে জন্মাষ্টমীর পুজো হয়, সেই পরিবারের সদস্যদের জন্মাষ্টমীর দিনে পেঁয়াজ, রসুন ও তামসিক খাদ্য বস্তু গ্রহণ করা উচিত নয়। এদিন সাত্বিক আহার গ্রহণ করা উচিত।